রাজউক গ্রাহকদের হয়রানীমুক্ত সেবা দিতে হবে : গণপূর্ত মন্ত্রী

255

ঢাকা, ২ মে, ২০১৯ (বাসস) : রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, স্বচ্ছতার সাথে নীতি নৈতিকতার মধ্যে থেকে গ্রাহকদের হয়রানীমুক্ত সেবা দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘মানুষের ভালোবাসা পাওয়ার চেয়ে বিত্ত-বৈভব বড় নয়। চিত্তকে বিত্তবান করেন। নৈতিকতা ও মূল্যবোধকে বড় করেন। আসুন আমরা সকলে মিলে শুধু দৃশ্যমান উন্নয়ন নয়, নীতি-নৈতিকতায়, মূল্যবোধে উন্নত হই।’
মন্ত্রী আজ রাজউক’র ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র ও নির্মাণ অনুমোদন অটোমেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।
এখন থেকে রাজউক’র সকল সেবা অনলাইনে দেয়া হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আজ দীর্ঘসূত্রিতার আর হয়রানির অবসান করে সহজীকরণের মাধ্যমে শুরু হলো দ্রুত সেবা পাওয়ার যুগান্তকারী পরিবর্তন। স্বচ্ছতা আনার ভিত্তি হিসেবে টেবিলে টেবিলে ধরনা দিয়ে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার পরিবর্তে বাসায় কিংবা যে কোন জায়গায় বসে নকশা অনুমোদনসহ ছাড়পত্র ও অন্যান্য সেবা অনলাইনে নেয়া যাবে।’
তিনি বলেন, ‘সারা দুনিয়া এখন গ্লোাবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে। সারা দুনিয়া এখন হাতের মুঠোয়। এই হাতের মুঠোয় আনার পদ্ধতি বাংলাদেশে চালু করার স্বপ্ন দেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর নির্দেশনায় তাঁরই সুযোগ্য পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় কার্যত বাংলাদেশকে আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ পৌঁছে দিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে কেনো মন্ত্রণালয় বা এর অধীনস্থ দপ্তর সংস্থা পিছিয়ে থাকবে না।
দীর্ঘসূত্রিতার যন্ত্রণা সেবা গ্রহীতারা বোঝেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মালিক জনগণ, আমরা জনগণের সেবক। মালিকদের অধিকার ফিরিয়ে দেয়া শেখ হাসিনার সরকারের লক্ষ্য। আমরা আজ যুগান্তকারী পরিবর্তনের যে ধারা সূচনা করলাম, সেটা এখানে শেষ হবে না, এটা চলমান প্রক্রিয়া।’
শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘রাজউকের সিটিজেন চার্টার বড় হরফে টানানো থাকবে। সেবা গ্রহণে একটা সময় নাগরিকের যে সময় লাগতো, সেখান থেকে যে উত্তরণ হয়েছে সেটা মানুষকে জানতে হবে। সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে কি কি স্তরে নাগরিকদের সুবিধা দেয়া আছে, সেটা তাকে জানতে হবে। যারা কিছু বোঝেন না, তাদের জন্য হেল্প ডেস্ক থাকবে। রাজউকের আটটি জোনের প্রতিটিতে এক্সপার্ট টিম থাকবে।’
তিনি বলেন, কেন মানুষ সেবা পাবেনা, কেন রাজউকের নানা সমালোচনা হবে। সেই সমালোচনার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসার জন্য এ কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ই সকল মন্ত্রণালয় ও দপ্তর-সংস্থার আগে এই আটোমেশনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং কার্যকর করছে।
‘কর্ণফুলী টানেল ও পদ্মা সেতু অপ্রয়োজনীয়’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এ বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মানুষ যখন উদ্ভ্রান্ত হয়, রাজনীতির চূড়ান্ত দিউলিয়াপনায় পৌঁছে যায়, তখন বোধ হয় নিজের অস্তিত্বের শেকড় এদিক-ওদিক, শূন্যে খোঁজে। দেউলিয়াপনার ভেতর থেকে বিএনপি বাংলাদেশের উন্নয়ন চোখে দেখে না’।
রাজউক’র চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বক্তৃতা করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আখতার হোসেন ও মো. ইয়াকুব আলী পাটওয়ারী।