বাসস দেশ-৫ : সিএমএইচ ঢাকায় সফলভাবে কিডনী সংযোজন

150

বাসস দেশ-৫
কিডনী-সংযোজন
সিএমএইচ ঢাকায় সফলভাবে কিডনী সংযোজন
ঢাকা, ২ মে, ২০১৯ (বাসস) : সিএমএইচ ঢাকায় দ্বিতীয় বারের মত আরও দুই রোগীর শরীরে দুটি কিডনী সফলভাবে সংযোজন করা হয়েছে।
গত ২৮ এপ্রিল হতে ৩০ এপ্রিল তিন দিনব্যাপী এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
ভারতের স্বনামধন্য কিডনী ট্রান্সপ্ল্যান্ট প্রতিষ্ঠান (আইকেডিআরসি, আহমেদাবাদ) হতে ছয় সদস্য বিশিষ্ট অভিজ্ঞ ট্রান্সপ্ল্যান্ট টীমের তত্ত্বাবধানে এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়, যার নেতৃত্ব দেন প্রখ্যাত ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জন অধ্যাপক প্রাঞ্জল রমনলাল মোদী।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) আজ একথা জানিয়েছে।
সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের সার্বিক সহযোগিতায় ঢাকা সিএমএইচে এই কিডনী ট্রান্সপ্ল্যান্ট সেন্টারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
২০১৮ সালের ২৯ জুলাই হতে ৩ আগস্ট ওই ট্রান্সপ্ল্যান্ট টীম এই কার্যক্রমের সূচনা করেন। এর ধারাবাহিকতায় ২য় বারের মত ল্যাপারোসকোপিক পদ্ধতিতে ২টি কিড্নী সফলভাবে সংযোজিত হলো ।
উল্লেখ্য যে, ওই টীমের সদস্যদের সংগে যৌথভাবে ঢাকা সিএমএইচ-এর বিশেষজ্ঞ ইউরোলজি নেফ্রোলজি টীমের সদস্যগন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে স্বক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। সিএমএইচ ঢাকার কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তৌফিকুল হাসান সিদ্দিকী জানান, কিডনী সংযোজন এর কার্যক্রমের সাথে সাথে অদুর ভবিষ্যতে অন্যান্য অরগ্যান (যেমনঃ লিভার, ফুসফুস, অগ্নাশয় ইত্যাদি) সংযোজনের প্রক্রিয়া চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এছাড়া ৩০ এপ্রিল সিএমএইচ ঢাকার কনফারেন্স হলে কিডনী ট্রান্সপ্ল্যান্ট বিষয়ক সাইনটিফিক সেমিনারে সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদপ্তর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ ফসিউর রহমান-এর উপস্থিতিতে ভারতীয় প্রখ্যাত ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জন অধ্যাপক প্রাঞ্জল রমনলাল মোদী ‘ক্যাডাভের অরগ্যান ট্রান্সপ্লান্টটেশন : অভারকামিং চ্যালেঞ্জেস এন্ড পারসোনাল এক্সপিরিয়েন্সেস’ এর উপর একটি প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন।
বর্তমানে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা এ চিকিৎসাসেবা পেলেও ভবিষ্যতে অসামরিক রোগীদের জন্যও এ সেবা উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, অন্তিম পর্যায়ের কিডনী রোগ (ইএসআরডি) একটি জটিল দূরারোগ্য এবং ব্যয়বহুল স্বাস্থ্য সমস্যা। এই রোগে নিয়মিত ডায়ালাইসিস অথবা কিডনী প্রতিস্থাপন (কিডনী ট্রান্সপ্ল্যান্ট) করে রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা হয়।
প্রতি বছর বাংলাদেশে এই রোগীর সংখ্যা প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের ৮০ শতাংশেরও বেশি রোগী যথাযথ চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করছে। বর্তমানে বাংলাদেশে মাত্র ৪টি সেন্টারে কিডনী প্রতিস্থাপন করা হয়।
বাসস/আইএসপিআর/এমএন/১৫৩৫/এমএসআই