বাজিস-১ : মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে মৎস্য শিকার শুরু

132

বাজিস-১
ভোলা-মৎস্য শিকার-শুরু
মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে মৎস্য শিকার শুরু
ভোলা, ১ মে, ২০১৯ (বাসস) : জেলায় মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ বুধবার থেকে পুনরায় মৎস্য শিকার শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে জেলেরা নতুন উদ্যমে নদীতে নামেন।
নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় ভোলার পাশাপাশি আজ লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুর জেলায়ও মেঘনা নদীতে মৎস্য শিকার শুরু করেছেন জেলেরা।
১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকার অভায়শ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছিল মৎস্য অধিদপ্তর।
মেঘনা নদীর ইলিশা এলাকা থেকে চরপিয়াল পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার এবং তেঁতুলিয়া নদীর ভেদুরিয়া থেকে চর রুস্তম পর্যন্ত একশ’ কিলোমিটার এলাকায় সকল প্রকার মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। মূলত এই সময়টা মাছের প্রজনন ও ডিম দেয়ার মৌসুম। তাই ডিম ছাড়ার প্রক্রিয়া নির্বিঘœ করতেই সরকারের এ উদ্যেগ।
ভোলার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. এস এম আজাহারুল ইসলাম বাসস’কে জানান, ‘মৎস্য বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনের কঠোর নজরদারির মধ্যে দিয়ে এ বছর অভায়শ্রমে সফলভাবে পালিত হয়েছে মৎস্য শিকারের নিষেধাজ্ঞা। সরকারের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার ফলে জেলেরাও আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন হয়ে মাছ ধরা থেকে বিরত ছিলো।’
তিনি জানান, আইন অমান্য করে মাছ ধরায় ২৩৯ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল দেয়া হয়েছে। ২৬১টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে এবং এসময় ২১১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সার্বিকভাবে সকলের সহযোগিতায় সরকারের এই কার্যক্রম অনেকটাই সফল হয়েছে বলে জানান তিনি।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, অভায়শ্রমে মাছের ডিম ছাড়ার মৌসম সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। মাছে আরো স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে দেশ। এতে করে শুধু জেলেরা নয় আমরা সকলেই উপকৃত হবো।
এদিকে, ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে মৎস্য শিকারের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে আজ নদীতে নেমেছেন জেলেরা।
জেলা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম বাসস’কে বলেন, জেলার নিবন্ধিত ১ লাখ ৩২ হাজার জেলেসহ মোট প্রায় ৪ লাখ মানুষ বর্তমানে মৎস্য শিকারে নিয়োজিত আছেন।
সদর উপজেলার শীবপুর ইউনিয়নের রতনপুর এলাকার জেলে আইজউদ্দিন, নেয়ামত ও সিদ্দিকউল্লা বলেন, সরকারের এই উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তবে এই সময়টাতে জেলেদের জন্য প্রণোদনা নিশ্চিত করলে এ কার্যক্রম শতভাগ সফলতা অর্জন করবে।
বাসস/সংবাদদাতা/১৮১০/-এমকে