বাসস দেশ-৯ : বহুপাক্ষিকতাবাদই সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চাবিকাঠি : রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন

110

বাসস দেশ-৯
জাতিসংঘ-স্থায়ী মিশন
বহুপাক্ষিকতাবাদই সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চাবিকাঠি : রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন
ঢাকা, ৩০ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, বহুপাক্ষিকতাবাদ সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চাবিকাঠি।
একক কোনো দেশের সরকারের পক্ষে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘আমাদের একমাত্র প্রত্যাশার জায়গা হচ্ছে বহুপাক্ষিকতাবাদের মাধ্যমে উন্মুক্ত, নিরাপদ, স্থিতিশীল, প্রবেশযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ তথ্য-প্রযুক্তি পরিবেশ সৃষ্টি করা।’
মাসুদ বিন মোমেন অতিসম্প্রতি জাতিসংঘ সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত ‘সাইবার নিরাপত্তা ও সক্ষমতা বিনির্মাণ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তৃতাকালে একথা বলেন।
সিঙ্গাপুর মিশন এবং জাতিসংঘের নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক কার্যালয় যৌথভাবে এ আলোচনার আয়োজন করে।
শক্তিশালী বৈশ্বিক সাইবার নিরাপত্তা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে এ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরেন।
আজ মঙ্গলবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
উল্লেখ্য,মাসুদ বিন মোমেনের সপারিশমালায় রয়েছে,সাইবার জগতে বিধি-বিধান নিশ্চিতের ক্ষেত্রে সরকারি বিশেষজ্ঞ দল এবং ওপেন এন্ডেড ওয়ার্কিং গ্রুপের প্লাটফর্মকে পূর্ণভাবে কাজে লাগানো। এজন্য জাতিসংঘকে তার ভূমিকা অব্যাহত রাখতে হবে, যাতে করে সাইবার পথের ভবিষ্যৎ নিয়ম নীতি, অংশীজনদের মধ্যে আস্থাবৃদ্ধি এবং নিরাপত্তা পদক্ষেপ গ্রহণের মতো বিষয়গুলো নিশ্চিত হয়। আগামী প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত সাইবার জগৎ নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে দৃঢ় রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করা।
এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে রাষ্ট্রদূত মাসুদ ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৭৩তম সাধারণ পরিষদের উচ্চ পর্যায়ের সপ্তাহে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বাংলাদেশ আয়োজিত সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক সভায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি প্রস্তাব স্মরণ করেন। ওই প্রস্তাবে শেখ হাসিনা ‘সাইবার নিরাপত্তা সংস্কৃতি’কে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের অবারিত সহযোগিতা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন।
বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত আচরণ বিধিমালার অনুপস্থিতে জাতিসংঘ সনদের মূলনীতি এবং সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক আইনগুলো সাইবার জগৎ পরিচালনায় কাজে লাগানো।
সাইবার আক্রমন প্রতিহত করা, সচেতনতা সৃষ্টি, নির্ভরযোগ্য পূর্ব সতর্কীকরণ ব্যবস্থা সৃষ্টি, সরকারসমূহ এবং প্রধান প্রধান বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে সমন্বয়ের সক্ষমতা বিনির্মাণ।
গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলোতে সাইবার আক্রমন ও সাইবার সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করা, সাইবার জগতের চৌর্যবৃত্তি রোধ এবং এতদসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও উপাত্ত বিনিময়ের ক্ষেত্রে জাতিসংঘভুক্ত প্রত্যেকটি দেশের সর্বোত্তম অনুশীলন পরস্পর ভাগ করে নেওয়া এবং সাইবার বিষয়গুলোকে আমলে নিতে দেশসমূহের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব সৃষ্টি করা।
জাতিসংঘের নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও উচ্চ প্রতিনিধি ইজুমি নাকামিটসু এবং সিঙ্গাপুরের সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সীর প্রধান নির্বাহী ডেভিড কোহ্সহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক এবং জাতিসংঘের কর্মকর্তাগণ এ সভায় অংশগ্রহণ করেন।
জাতিসংঘে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের স্থায়ী প্রতিনিধি বুরহান গফুর এ সভা পরিচালনা করেন।
বাসস/সবি/জেডআরএম/১৭০৬/কেকে