হুমায়ুন আজাদ ছিলেন সাহসী ও নির্ভীক কণ্ঠস্বর : শিল্পী হাসেম খান

304

ঢাকা, ৩০ এপ্রিল ২০১৯ (বাসস) : শিল্পী হাশেম খান বলেছেন, কবি ও লেখক হুমায়ুন আজাদ তার লেখার ভাষায় ছিলেন তীক্ষ্ণ, সুনির্দিষ্ট এবং সুস্পষ্ট। তেমনি তার আলাপচারিতার ভাষা ও ব্যক্তিত্বও ছিল স্বচ্ছ।
তিনি বলেন , হুমায়ুন বিশ্বাস করতেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ছাড়া দেশ ও মানুষের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। এ কারণে আমৃত্যু তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল বাংলাদেশের জন্য কাজ করে গেছেন।
শিল্পী হাসেম খান জাতীয় জাদুঘর আয়োজিত ‘বহুমাত্রিক হুমায়ুন আজাদ ও তাঁর কবিতা’ শীর্ষক সেমিনারে সভাপতির ভাষণে এ বক্তব্য রাখেন।
জাতীয় জাদুঘরে কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে গতকাল সন্ধ্যায় আয়োজিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণসংযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রুবাইয়াৎ ফেরদৌস এবং কবিকন্যা মৌলি আজাদ । স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহমেদ।
ড. সৌমিত্র শেখর বলেন , হুমায়ুন আজাদ ছিলেন একজন প্রথাবিরোধী ও বহুমাত্রিক মননশীল লেখক। তিনি কবিতা লেখার শুরু করেন ষাটের দশকের শেষের দিক থেকে। প্রথম বইতেই তাঁর পাকা হাতের স্বাক্ষর লক্ষ্য করা যায়। জীবনের শেষার্ধে অকুতোভয় এই লেখক ধর্মনিরপেক্ষতা, সামরিক শাসনের বিরোধিতা, নারীবাদী বক্তব্যসহ তার সাহসী লেখনীতে ব্যাপক পাঠকগোষ্ঠীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হন।
মৌলি আজাদ বলেন, আমার বাবা ছিলেন অনেক দায়িত্বশীল একজন মানুষ। সবসময় যুক্তি দিয়ে কথা বলতেন। বাবার মতো সাহসী ও ঠোঁটকাটা মানুষ আমি দ্বিতীয় দেখিনি। তিনি যা বলতেন সম্মুখে বলতেন, উচিত কথা বলতেন। বাবা বই পড়তে খুব ভালোবাসতেন।
অধ্যাপক রুবাইয়াৎ ফেরদৌস বলেন, হুমায়ুন আজাদ বাঙালি জাতিসত্তার উন্মেষ এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে সম্মানের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত করে গেছেন। বাঙালির সমাজজীবন, প্রকৃতি ও ঐতিহ্যগতভাবে অর্জিত সংস্কৃতি, সাহিত্য আর শিল্পের মাধুর্যকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বময়। আজও তিনি অমলিন হয়ে আছেন।
বাসস/এইচএ/১৬৩৭/এমএবি