বাসস দেশ-৪ : চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ, নথি তলব

134

বাসস দেশ-৪
খালেদা-আপিল
চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ, নথি তলব
ঢাকা, ৩০ এপ্রিল ২০১৯ (বাসস) : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের দন্ডের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে অর্থদন্ড এবং জব্দের আদেশ স্থগিত করে দুই মাসের মধ্যে ওই মামলার নথি তলব করেছে আদালত। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেয়। গত ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিলটি করা হয়।
খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলার নথি আসার পর জামিনের বিষয়টি দেখা হবে বলে মন্তব্য করে আদালত। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ চার আসামীকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়ে গত বছর ২৯ অক্টোবর রায় ঘোষণা করা হয়। রাজধানীর ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর স্থাপিত পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এ রায় দেয়। রায়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়াসহ চার আসামিকে ৭ বছর করে সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়। এছাড়া এ ট্রাস্টের নামে ঢাকার কাকরাইলে থাকা ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রের অনুকুলে বাজেয়াপ্তের আদেশ দেয় আদালত। রায় ঘোষণার প্রাক্কালে আদালত বলেন, ১৫টি বিবেচ্য বিষয় সামনে রেখে মামলার রায় দেয়া হয়েছে। রায়ে বলা হয়, জিয়া চ্যারিটেব্যাল ট্রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এমন ব্যক্তির মাধ্যমে এ ট্রাষ্ট্রের লেনদেন হয়েছে। অবৈধ উপায়ে এ ট্রাষ্ট্রে বিভিন্ন সময় লেনদেন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে অবৈধভাবে এ ট্রাষ্ট্রে অর্থের লেনদেন হয়েছে যা ক্রিমিনাল মিসকন্ডাক্ট বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়। দুদকের পেশকৃত সাক্ষ্য-প্রমাণ অনুযায়ী খালেদা জিয়াসহ মামলার অপর আসামীদের সহযোগিতায় এখানে অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে দায়িত্বে থেকে ভবিষ্যতে যেন কেউ এরূপ অপরাধ করতে না পারে তার দৃষ্টান্ত স্থাপনে আইন অনুযায়ী আসামীদের সর্বোচ্চ সাজা দিয়ে আদালত রায় ঘোষণা করে।
এ মামলায় চার আসামির মধ্যে খালেদা জিয়া, জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান বর্তমানে কারাগারে আছেন। আরেক আসামি হারিছ চৌধুরী শুরু থেকেই পলাতক।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। মামলাটিতে খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তৎকালীন বিচারক বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয়। মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে ৩২ জন সাক্ষ্য দেয়। আসামীপক্ষ তাদের জেরা করে।
বাসস/এএসজি/ডিএ/১৬৩০/আরজি