কাপ্তাইয়ে প্রাণহানী ঠেকাতে প্রশাসনের সচেতনতামূলক প্রচারণা

164

রাঙ্গামাটি, ৩০ এপ্রিল ২০১৯ (বাসস) : কাপ্তাইয়ের ঢাকাইয়া কলোনী, লক গেইট, শীল্প এলাকা, মুরগির টিলা, ওয়াগ্গার মুরালীপাড়া, কুকিমারা রাইখালীর নারানগিরি, চন্দ্রঘোনার বারঘোনিয়া সহ ৫ ইউনিয়নে বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ের ঢালে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করছে প্রায় ৫’শতাধিক পরিবার। গত তিন বছর পূর্বে এসব ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারের মধ্যে ১৮ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে পাহাড় ধ্বসের কবলে পড়ে করুণ মৃত্যুর শিকার হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এদিকে বর্ষার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে প্রশাসন কর্তৃক ঝুঁকিপূর্ণ পরিবার সমূহকে আশ্রয়কেন্দ্রে আসার বিষয়ে উদ্ভুদ্ধ করতে দেখা গিয়েছে।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল বলছেন, পাহাড় ধ্বসের কবলে পড়লে যে শুধু আপনার ক্ষতি ও প্রাণহানী হবে তা নয়। পাশাপাশি আপনার পরিবারে নেমে আসবে হতাসা। সমাজেও এক ধরণের অস্থিরতার সৃষ্টি হবে। তাই এ বর্ষার সময়ে পূর্বের ন্যায় আর বাড়িতে বসে থাকলে হবেনা। সকলকে আগে ভাগে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিতে হবে। আশ্রয় নেওয়া পরিবার সমূহের পর্যাপ্ত খাবার ও থাকার ব্যবস্থা কথাও জানান তিনি। অন্যদিকে যদি কোন ঝুঁকিপূর্ণ পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে না যান তাহলে তার বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করারও হুসিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, কাপ্তাইয়ে বর্ষার সময়ে ৫ ইউপি কার্যালয়, বিভিন্ন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে অস্থায়ীভাবে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয় এবং চন্দ্রঘোনা ইউপি কার্যালয়ে বেশি মানুষকে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে। এসময় সরকারি ভাবে বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা পাওয়ার পাশাপাশিও এগিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন সংস্থা এবং সেচ্ছাসেবী সংগঠনকে।
আজ সকালে কাপ্তাইয়ের নতুন বাজার, লক গেইট ও ঢাকাইয়া কলোনীতে গিয়ে বর্ষার সময় পাহাড় ধ্বসে প্রাণহানী রোধে সকলের নিরাপত্তার স্বার্থে নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে উদ্ভুদ্ধ করতে গিয়ে এ প্রতিনিধিকে এসব কথা বলেন, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কাপ্তাই থানা পুলিশ পরিদর্শক নূরুল আলম, কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুর লতিফ সহ আরও অনেকে।