বাজিস-৩ : নীলফামারীতে কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় : পছন্দের তালিকায় দেশী সুতি কাপড়

178

বাজিস-৩
নীলফামারী-কাপড়ের দোকান
নীলফামারীতে কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় : পছন্দের তালিকায় দেশী সুতি কাপড়
নীলফামারী, ১১ জুন, ২০১৮ (বাসস) : জেলায় জমে উঠেছে ঈদ উৎসবের কেনাকাটা। ক্রেতার ভিড়ে ব্যস্ত এখন জেলার বিপণী বিতানগুলো। তবে ব্যস্ততা বেশি তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন কাপড়ের দোকানে। দিনরাত এসব দোকানে নারী-পুরুষ আসছে দলে দলে।
আজ সোমবার বেলা ১২টা পর্যন্ত জেলা শহরের বড় বাজার, কালিবাড়ি মোড়, মকবুল হোসেন মার্কেট, পৌর সুপার মার্কেট, জেলা পরিষদ মার্কেটে কাপড়ের দোকান ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ব্যবস্ততা। দিনের চেয়ে রাতে আরো ব্যস্ততা বাড়ে এসব দোকানে। বিভিন্ন দোকান ঘুরে সাধ ও সাধ্যের মধ্যে কেনাকাটা করতে পেরে খুশি ক্রেতারা। পাশাপাশি ক্রেতাদের পছন্দের কাপড় হাতে তুলে দিতে পেরে খুশি বিক্রেতারাও।
এবারে মেয়েদের পছন্দ দেশীয় সুতি কাপড়ের তৈরি পোশাক ও শাড়ি। তবে দেশী সুতি থ্রিপিস রয়েছে মেয়েদের পছেন্দের শীর্ষে। গাউন ও কাজ করা লং ফ্রক, টুপার্ট, ফোরপার্ট, কুর্তি, জিপসি, সারারা, ফোরপিস ও অরগেন্ডিও বেচা-কেনা হতে দেখা গেছে। পাঞ্জাবির পাশাপাশি ছেলেদের প্যান্ট, শার্টও রয়েছে পছন্দের তালিকায়।
দেশী সুতি থ্রিপিস ১ হাজার ২শ থেকে শুরু করে ৫ হাজার, গাউন, লাসা, বিভিন্ন ধরনের থ্রিপিস ৩ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা লং ফ্রক ২ হাজার থেকে আট হাজার টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। পাশাপশি ছেলেদের সুতি পাঞ্জাবী বিক্রি হতে দেখা গেছে ১ হাজার থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত।
জেলা শহরের ক্রেতা ফেরদৌসি বেগম (৩০), শাহিদা বেগম (২৮) বলেন, ‘এবারে ঈদের বাজারে সাধ ও সাধ্যের মধ্যে কাপড় কেনাকাট সম্ভবব হচ্ছে। দোকানের কালেকশন থেকে পরিবারের সদস্যদের পছন্দের বিভিন্ন কাপড় মিলছে।’
তারা জানান, পরিবারের সবার জন্য কাপড় কেনা মাঝামাঝি পর্যায়ে। যেটুকু বাকি আছে দুই এক দিনের মধ্যে শেষ হবে।
শহরের ক্রেতা সেলিনা সাথী বলেন,‘দেশীয় তৈরি কাপড়ের দিকে এবারে আকর্ষণ বেশি। গরমের কারণে আমি সুতি থ্রিপিস কিনেছি। সাধ্যের মধ্যেই পছন্দের কাপড় পেয়েছি।’
শহরের মরাল সংঘ মোড়ে অবস্থিত ভৌমিক বস্ত্রলায়ের স্বত্বাধিকারী সাথী ভৌমিক বলেন, ক্রেতার চাহিদা অনুসাবে আমরা দেশি বিদেশি পোশাক কালেকশনে রেখেছি। তবে এবারে দেশী কাপড়ের দিকে ঝুকেছে ক্রেতারা।’
তিনি আরো বলেন, ‘ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে পছন্দের কাপড় হাতে তুলে দিতে পারছি। গত প্রায় এক সপ্তাহ দলে ক্রেতাদের ভিড় পড়েছে। সন্ধ্যার পর চাপ বাড়ে আরেকগুণ।
বাসস/সংবাদদাতা/আহো/১৩৩০/নূসী