লন্ডনের সবুজ সংকেত না মেলায় বিএনপির সংসদ সদস্যরা শপথ নিচ্ছেন না : হানিফ

194

ঢাকা, ২৯ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, যুক্তরাজ্যের লন্ডনে থাকা বিএনপি নেতা তারেক রহমানের সবুজ সংকেত না পাওয়ায় বিএনপির সংসদ সদস্যরা শপথ নিচ্ছেন না।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির সব কার্যক্রম লন্ডন থেকে পরিচালিত হয়। সেখান থেকে সবুজ সংকেত না মেলায় এবং পদ হারানোর ভয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় সংসদে শপথ নিচ্ছেন না।’
আওয়ামী লীগের অন্যতম মুখপাত্র মাহবুব-উল আলম হানিফ আজ দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের খুলনা বিভাগীয় নেতাদের সঙ্গে আয়োজিত এক যৌথসভায় এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে খুলনা বিভাগের প্রত্যেক জেলা ও উপজেলায় দলকে সুসংগঠিত করতে এ যৌথসভার আয়োজন করা হয়।
হানিফ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ না নেয়ার কারণ হলো লন্ডন থেকে পরিচালিত এই দলে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই।’
তিনি বলেন, তিনি (মির্জা ফখরুল) দলের বিরুদ্ধে গিয়ে শপথ নিলে পদ হারাবেন। পদ হারানোর ভয়েই তিনি শপথ নেবেন না বলে ঘোষনা দিয়েছেন।
হানিফ বলেন, বগুড়া থেকে নির্বাচিত হয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার নিজ এলাকার ভোটারদেও প্রতি দায়বদ্ধতা থাকলেও বগুড়ার ভোটার, এমনকি জনগণের প্রতি তার কোনও দায়বদ্ধতা নেই। তাই তিনি শপথ নিচ্ছেন না।’
তবে আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বিএনপির বাকিরা শপথ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দলের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘সংগঠন শক্তিশালী হলে অশুভ শক্তির যে কোনও তৎপরতাকে প্রতিহত করা যাবে। সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি পেলে অশুভ শক্তির তৎপরতা লোপ পায়। আর সংগঠনকে শক্তিশালী করতেই আওয়ামী লীগে নিয়মিত কাউন্সিল হয়।’
জামায়াতে ইসলামীর সংস্কারপন্থী নেতাদের নিয়ে গঠিত রাজনৈতিক মঞ্চের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘জামায়াতের খোলস পাল্টে নতুনভাবে জামায়াত আসছে। এদের চরিত্র কিন্তু পরিবর্তন হবে না।’
বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন সিরাজ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ও কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদের সদস্য এস এম কামাল হোসেনসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।