বরগুনার আমতলীতে প্রাথমিক শিক্ষায় অগ্রগতি

144

বরগুনা, ২৯ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : জেলার আমতলী উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষায় বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। এ উপজেলায় স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৮০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। মাত্র কয়েক বছর আগেও ছেলেমেয়েরা স্কুলের পরিবর্তে সময় কাটাতো মাঠে-ঘাটে গো-চারণে কিংবা খাল-বিলে মাছ ধরতো, আজ তারাই বিদ্যাপীঠে।
অনুন্নত রাস্তাঘাট, দরিদ্রতা, অশিক্ষা আর অবহেলার কারণে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের মধ্যে শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠানোর আগ্রহ ছিলো না। সামগ্রিক উন্নয়নের ছোঁয়ায় সেই প্রতিকূলতাগুলো অতিক্রম করে তারা এখন স্বপ্ন দেখছে, ছেলে-মেয়ে স্কুলে পড়বে, শিক্ষার আলোয় আলোকিত হয়ে দেশ সেবায় নিয়োজিত হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের ক্রমবর্ধমাণ তথ্যসূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে আমতলীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল ১৫২টি। তখনকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল ১৯ হাজার ৩ শত ৫৫ জন। ২০২টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০১৯ সালে বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৪ হাজার ৯ শত ২ জনের ওপরে।
আমতলীর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মজিবুর রহমান জানিয়েছেন, বর্তমান সরকারের শিক্ষা নীতি এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব প্রদানের কারণেই আমতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষায় আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে একসাথে এত বিদ্যালয় কোনো সরকার জাতীয়করণ করতে পারেনি। শুধু তাই নয়, জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ের শতভাগ ছাত্র ছাত্রীকে দেয়া হচ্ছে উপবৃত্তি। বছরের প্রথম দিনেই তাদের হাতে দেয়া হয় নতুন বই। প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার জন্য আলাদা কক্ষ, আলাদা শিক্ষক, শিশুতোষ শিক্ষা উপকরণ দেয়া হয় প্রতিবছর।
আমতলীর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সরোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা পাসের হারও সন্তোষজনক। এলাকার অন্যান্য উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্রে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।