বাসস ক্রীড়া-২ : ইংল্যান্ড চাপমুক্ত থাকতে পারবে বলে বিশ্বাস মরগানের

147

বাসস ক্রীড়া-২
ক্রিকেট-মরগান
ইংল্যান্ড চাপমুক্ত থাকতে পারবে বলে বিশ্বাস মরগানের
লন্ডন, ২৯ এপ্রিল ২০১৯ (বাসস) : দেশের মাটিতে আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড চাপমুক্ত থাকতে পারবে বলে বিশ্বাস করেন দলের অধিনায়ক ইয়োইন মরগান। আগামী ৩০ মে থেকে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলসে শুরু হতে যাচ্ছে ওয়ানডের সবচেয়ে মর্যাদাকর আসর বিশ্বকাপ। নিজ মাটিতে বিশ্বকাপ হওয়ায়, স্বাগতিক হিসেবে চাপে থাকতে হবে ইংলিশদের। কিন্তু আসন্ন বিশ্বকাপে দল চাপমুক্ত থেকে ভালো ক্রিকেট খেলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মরগান। তিনি বলেন, ‘দেশের মাটিতে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড চাপমুক্ত থাকবে এবং এবার বিশ্বকাপ থেকে সেরা সাফল্যই পাবে দল।’
তিন বার ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলেও শিরোপা জয় করা হয়নি ইংল্যান্ডের। ১৯৭৯, ১৯৮৭ ও ১৯৯২ সালের আসরে ফাইনাল খেলে ইংলিশরা। তিন ফাইনালে যথাক্রমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের কাছে হেরে শিরোপায় স্বাদ নিতে ব্যর্থ হয় ইংল্যান্ড। তবে এবার সেই বন্ধ্যাত্ব ঘোচাতে চায় ইংলিশরা। দেশের মাটিতে খেলার সুবিধা নিয়ে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের শিরোপা ছুয়ে দেখতে মরিয়া তারা। আর গেল তিন বছর ধরে ওয়ানডেতে দুর্দান্ত পারফরমেন্স ইংল্যান্ডকে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছে।
কিন্তু স্বাগতিক হওয়ায় ইংল্যান্ডের জন্য আসন্ন বিশ্বকাপটি অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। তবে এই চ্যালেঞ্জ নিতে দল প্রস্তুত বলে মনে করেন ইংলিশ অধিনায়ক মরগান। আসন্ন বিশ্বকাপে দল চাপমুক্তই থাকবে বলে জানান মরগান, ‘দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলার চাপ অবশ্যই থাকবে। তবে আমরা সেই চাপ নিতে প্রস্তুত। গেল তিন বছরে আমরা অনেক বেশি পরিপক্ব হয়েছি। তাই চাপ মুক্ত হয়ে দল ভালো খেলতে পারবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’
২০১৭ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলসে। স্বাগতিক হয়ে ফেভারিটের তকমা গায়ে ছিলো ইংলিশদের। কিন্তু কার্ডিফে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরে যায় মরগানের দল। এবারও ফেভারিটের তকমা ইংল্যান্ডের আছে। তবে এসব নিয়ে না ভেবে বিশ্বকাপের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে চান মরগান। তিনি বলেন, ‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে প্রায় সব সিরিজেই আমাদের গায়ে ফেভারিটের তকমা ছিলো। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আমরা সেমিফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিলাম। এরপর প্রত্যেক সিরিজে ফেভারিট তকমা নিয়ে সাফল্য পাবার চেষ্টা করেছি। তবে এখন ছেলেরা ফেভারিট বা আমরাই সেরা এসব নিয়ে ভাবে না। ফেভারিট তকমার সাথে ছেলেরা অভ্যস্ত হয়ে গেছে। তবে এখন আমাদের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো বিশ্বকাপের জন্য ভালোভাবে নিজেদের প্রস্তুত করা এবং ভাল পারফরমেন্স করা।’
২০১৫ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় ইংল্যান্ড। এরপর থেকেই ওয়ানডেতে অন্য এক দলে পরিনত হয় মরগানের নেতৃত্বাধীন ইংল্যান্ড। ব্যর্থতাকে পেছনে ফেলে বর্তমানে ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ে এক নম্বর দল ইংল্যান্ড। তাই র‌্যাংকিং-এর সেরা দল হয়েই বিশ্বকাপে খেলতে নামবে মরগান-স্টোকস-বাটলাররা। গেল কয়েক বছরে নিজেদের খেলার কৌশল পাল্টে সাফল্য পাওয়াতে খুশী মরগান। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছরে আমাদের খেলার কৌশল বিকশিত হয়েছে। আমার অনেক পরিবর্তন করেছি। খুব আগ্রাসী খেলতাম আমরা। সেখান থেকে সরে এসেছি। এখন ইতিবাচক, পরিকল্পনামাফিক ও প্রাণবন্ত ক্রিকেট খেলি আমরা। আমি খুবই রোমাঞ্চিত।’
৩০ মে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী দিনই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মিশন শুরু করবে ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপের আগে দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি টি-২০ ও পাঁচটি ওয়ানডে খেলবে ইংলিশরা।
বাসস/এএমটি/১২৩৫/স্বব