চাঁদপুরের জেলেরা জাল ও নৌকা মেরামত কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে

165

চাঁদপুর, ২৯ এপ্রিল ২০১৯ (বাসস) : জেলার মতলব উত্তরের ষাটনল থেকে হাইমচরের চরভৈরবী পর্যস্ত প্রায় ৯০ কিলোমিটার মার্চ-এপ্রিল দুই মাসে ইলিশসহ সব ধরণের মাছ ধরা নিষিদ্ধ রয়েছে। সেই দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হতে বাকী আর একদিন। এরইমধ্যে ইলিশ মাছ ধরার অপেক্ষা করছেন জেলেরা। তারা মেরামত করছেন নৌকা, জালসহ সব ধরণের সরঞ্জাম।
আগামী ১ মে থেকে পদ্মা ও মেঘানা নদীতে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। চাঁদপুর জেলার নিবন্ধিত ৫১ হাজার ১৯০ জেলে পরিবার মাছ ধরতে দিনরাত নৌকা মেরামত, আলকাতরার প্রলেপ এবং জালের ছেড়া ফাঁক বন্ধ করতে বুনন কজে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে।
সদরের উপজেলার রামদাসদী এলাকার জেলে এয়াকুব সর্দার জানান, সরকারি নিষেধাজ্ঞার সময় নদীতে মাছ ধরতে নামিনি। সরকারের খাদ্য সহযোগিতায় সংসার চলেছে। নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেই মাছ ধরতে যাব। সেই জন্য জাল ও নৌকার মেরামত করে প্রস্তুত করে নিচ্ছেন তিনি।
একই এলাকার জেলে মিজান হাওলাদার জানান, সরকারি নিষেধাজ্ঞা মানলেও এক শ্রেণির জেলে জাটকা ধরেছে,তাদের জেলে কার্ড বাজেয়াপ্ত করা দরকার, যাতে তারা সরকারি সুবিধা না পায়। তিনি ও জাল নৌকা মেরামতে ব্যস্ত।
জেলে ইব্রাহিম বেপারী জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী দুই মাস ধরতে নদির পাড়ে ও যাইনি, সরকারের কাছ থেকে ৪০ কেজি করে খাদ্য সহায়তা হিসেবে চাল পেয়েছি। এখন জালের ছিড়া ফাঁক বন্ধ করে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আল¬াহর ইচ্ছা হলে ভালো ইলিশ পাবো। তবে কিছু অসাধু জেলের জাটকা নিধনের কারণে উৎপাদন কমার আশংকা রয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকি জানান, চাঁদপুরে জাটকা রক্ষা কর্মসূচিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শতভাগ চেষ্টা করা হয়েছে। কিছু সংখ্যক জেলে নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করেই মাছ ধরেছে। তবে আমরা তাদের ছাড় দেইনি। এবছর অনেক বেশি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, তালিকাভুক্ত জেলে ছাড়াও সব জেলে নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নদীতে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।