বাজস-২ : জয়পুরহাটে পাদুকা শিল্পী মনিলাল রবিদাসের সাফল্য

312

বাজস-২
জয়পুরহাট-পাদুকা শিল্পী
জয়পুরহাটে পাদুকা শিল্পী মনিলাল রবিদাসের সাফল্য
জয়পুরহাট, ২৯ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : মনিলাল রবিদাস। বয়স ৫০ ছুঁই ছুঁই। বাপ-দাদার হাত ধরে পাওয়া পাদুকা শিল্পীর কাজ করে অর্জন করেছেন সফলতা। অধিকার আদায় নিয়ে সচেতনা বৃদ্ধি কল্পে গঠিত জেলা পাদুকা শিল্পী সমিতির সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
দোকানে বসেই কথা হয় পাদুকা শিল্পী মনিলালের সঙ্গে। তিনি জানান, বিগত ২১ বছর ধরে এ পেশায় জড়িত। ছোট ভাই রতন রবিদাসকে নিয়ে শুরু করেন এ পাদুকা শিল্পীর কাজ। স্থায়ী কোন জায়গা না থাকলেও বর্তমানে কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে রেলের জায়গায় তুলা পট্টির পাশে ছোট একটি দোকান নিয়ে কাজ করেন। ভাড়া দেন মাসে ১২ শ টাকা। ২০০০ সালের আগে জুতা তৈরির কাঁচা মালের দাম কম থাকলেও বেচা-কেনাও কম হতো। এখন দেশ অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়ে যাওয়ায় কাঁচা মালের দাম তিন গুণ বৃদ্ধি পেলেও বেচা-কেনা খুব ভাল। ক্ষুদ্র পাদুকা শিল্পীর কাজ করে দুই ভাই মিলে ছেলে-মেয়ের লেখাপড়া সহ সংসারের খরচও চালাতে পারছেন। এক জোড়া জুতা তৈরি করতে খরচ পড়ে প্রকার ভেদে ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। এগুলো বিক্রি হয় ২শ থেকে ৪শ টাকা পর্যন্ত। শীত কালে এসব জুতার ( স্যান্ডেল) চাহিদা কম থাকলেও গরম কালে এর চাহিদা অনেক গুণে বৃদ্ধি পায়। ২০০০ সালে জয়পুরহাট জেলায় এক হাজারের অধিক লোকজন এ পেশায় আত্মনিয়োগ করে জীবিকা নির্বাহ করলেও বর্তমানে কমে ২শ’তে নমেছে। পাদুকা শিল্পীর কাজ করে লাভ কম হওয়ায় বাপ-দাদার হাত ধরে পাওয়া এ পেশা ছেড়ে অনেকে অন্য পেশা বেছে নিচ্ছেন। সম্ভাবনাময় পাদুকা শিল্প টিকিয়ে রাখার জন্য প্রশিক্ষণসহ সরকারের সহযোগিতা দরকার বলে মনে করেন ক্ষুদ্র এই পাদুকা শিল্পী মনিলাল রবিদাস। জয়পুরহাট শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, পাদুকা শিল্পীদের দক্ষতা উন্নয়ন মূলক ৩ থেকে ৬ মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণ প্রদানসহ আর্থিক অনুদান প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। অতিশীঘ্রই এ কর্মসূচী চালু হবে বলেও জানান তিনি।
বাসস/সংবাদদাতা/কেইউ/১০১৬/নূসী