বাসস দেশ-১৭ : নুসরাত হত্যার তদন্তে এখন পর্যন্ত সন্তুষ্ট হাইকোর্ট

164

বাসস দেশ-১৭
হাইকোর্ট-সন্তুষ্ট
নুসরাত হত্যার তদন্তে এখন পর্যন্ত সন্তুষ্ট হাইকোর্ট
ঢাকা, ২৮ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস): ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টটিগেশন (পিবিআই) যে তদন্ত করছে তাতে সম্পূর্ণভাবে আদালত সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
বিচারপতি এফ.আর.এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে,এম কামরুল কাদের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ ঘটনায় বিচারিক কমিশন চেয়ে রিট উপস্থাপনের পর আজ রোববার আদালত নুসরাত হত্যার তদন্তে এখন পর্যন্ত সন্তুষ্ট বলে মন্তব্য করে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ড.ইউনুছ আলী আকন্দ।
ডেপুটি এটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, সবকিছু মিলিয়ে ওনাদের (পিবিআই) কাজ সন্তোষজনক প্রতীয়মান হয়েছে। এখন পর্যন্ত সমস্ত বিষয় সুষ্ঠুভাবে চলছে। এ মুহূর্তে আদালত হস্তক্ষেপের যৌক্তিক কারণ দেখছেন না। তিনি বলেন, আমাদের কাছে যে ইনফরমেশন আছে। আশাকরি দ্রুত রিপোর্ট (চার্জশিট) আসবে। ওনাদের (পিবিআই) সব রকমের স্বাধীনতা দেয়া আছে।
ড. ইউনুছ আলী বাসস’কে বলেন, আদালতে বলেছে, পিবিআই যথাযথ তদন্ত করছে। এ মূহূর্তে কোনো আদেশ দিলে তদন্তে ব্যঘাত হবে। তিনি বলেন, ওই মাদ্রাসার কমিটির বিরুদ্ধে একটি সম্পূরক আবেদন দিয়েছি। ইতোমধ্যে কমিটি বাতিল করা হয়েছে। কমিটি বাতিল করলেই হবে না। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আবেদন করেছি।
গত ১৭ এপ্রিল ওই ঘটনা অনুসন্ধানে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের নির্দেশনাসহ কয়েকটি আরজি জানিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ।
গত ৬ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে পরিকল্পিত ভাবে ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাত রাফির গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। এর আগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির মামলা প্রত্যাহারের জন্য রাফিকে চাপ দেয় তারা। পরে আগুনে ঝলসে যাওয়া রাফিকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে নুসরাত জাহান রাফি মারা যায়। শ্লীলতাহানির মামলায় আগে থেকেই কারাবন্দি ছিলেন সিরাজ উদদৌলা।
নুসরাত হত্যা মামলার তদন্ত করছে পিবিআই।
বাসস/এএসজি/ডিএ/১৭৩৫/কেএমকে