বাসস বিদেশ-২ : ভেনিজুয়েলায় ডুবে যাওয়া নৌযানটি ছিল ‘অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই’

339

বাসস বিদেশ-২
ভেনিজুয়েলা-অভিবাসন-দুর্ঘটনা
ভেনিজুয়েলায় ডুবে যাওয়া নৌযানটি ছিল ‘অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই’
কুমানা (ভেনিজুয়েলা), ২৭ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস ডেস্ক): ভেনিজুয়েলার অভিবাসন প্রত্যাশীদের বহনকারী ডুবে যাওয়া নৌযানটি অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই ছিল। মাছ ধরার নৌযানটি ত্রিনিদাদ ও টোবাগো যাচ্ছিল।
এই দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া এক যাত্রী শুক্রবার একথা জানিয়েছে। খবর এএফপি’র। এই ঘটনায় নিখেঁাঁজ ২২ জনের সন্ধানে তল্লাশী চলছে।
বিরোধী দলীয় এক আইনপ্রণেতা বলেন, বুধবার ভোরে ক্যারিবিয়ানের দক্ষিণাঞ্চলে ৩৩ জন আরোহী নিয়ে নৌযানটি ডুবে যায়। এ সময় জেলেরা সমুদ্র থেকে নয় জনকে উদ্ধার করে।
এই দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ২২ বছর বয়সী নারী ইউসব্রিলিস মার্চান শুক্রবার বলেন, নৌযানটিতে অতিরিক্ত আরোহী ছিল। দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় সুকরে অঙ্গরাজ্যের উপকূলীয় শহর গুইরিয়া থেকে তিনি নৌযানটিতে উঠেন বলে জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা যাত্রা শুরু করার পর নৌযানের একটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে, কিন্তু তা সত্ত্বেও আমরা চালককে এটি চালিয়ে যেতে বলি।’
তিনি আরো বলেন, পাতোস দ্বীপ এলাকায় পৌঁছানোর পর উপকূল থেকে প্রায় চার ন্যটিকেল মাইল দূরে ‘নৌযানটির একটি মোটর বন্ধ হয়ে যায় এবং এতে পানি উঠতে শুরু করে।’ তার স্বামী তাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করেন।
স্থানীয় বিরোধীদলীয় আইনপ্রণেতা রবার্ট আলকালা জানান, জীবিত উদ্ধার পাওয়া নয় যাত্রীর মধ্যে মার্চানও রয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, এই ঘটনায় ১৬ বছর বয়সী একটি মেয়েসহ দু’টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আইনপ্রণেতা বলেন, ত্রিনিদাদ ও টোবাকোর কোস্টগার্ড সদস্য ও জেলেরা নৌযানটির নিখোঁজ ২২ আরোহীর খোঁজে তল্লাশী চালিয়ে যাচ্ছে।
ভেনিজুয়েলার কর্তৃপক্ষ এই নৌযানডুবির ব্যাপারে কিছু বলেনি।
বাসস/কেএআর/১০-১০/আরজি