মেধাসম্পদ সংরক্ষণে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে : রাষ্ট্রপতি

250

ঢাকা, ২৫ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ মেধাসম্পদ সংরক্ষণ এবং এর যথাযথ ব্যবহারে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি ‘বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস’ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে এ আহ্বান জানান।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও আগামীকাল ‘বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস-২০১৯’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘রিচ ফর গোল্ড : আইপি এন্ড স্পোর্টস’ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বৈশ্বিক ক্রীড়া উন্নয়নে এবং উপভোগে নতুনত্বের প্রবর্তন, সৃজনশীলতা এবং মেধাসম্পদের অধিকার অনস্বীকার্য। ক্রীড়া শারীরিক ও মানসিক বিকাশের পাশাপাশি দেশকে বিশ্ব পরিমন্ডলে মর্যাদার সাথে তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ক্রীড়া নৈপুণ্যে বাংলাদেশ সৃজনশীলতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের সহযাত্রী হিসেবে নবযাত্রা করেছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বায়নের বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। মেধাভিত্তিক শিল্প ও অর্থনীতি গড়ে তোলার মাধ্যমে এটা অর্জন করা সম্ভব। এক্ষেত্রে ক্রীড়ার মাধ্যমে নতুন নতুন বিশ্বমানের খেলোয়াড় তৈরি, সৃজনশীল ক্রীড়াসামগ্রী তৈরি এবং এর বিপণন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে আরো বেগবান করে তুলতে পারে। তিনি বলেন, নব-নব উদ্ভাবিত ক্রীড়াপ্রযুক্তি বা এর বিপণনের ক্ষেত্রে মেধাসম্পদের সংরক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। শিল্প উৎপাদনের ক্ষেত্রে সনাতনী প্রযুক্তি ও ধ্যান-ধারণা পরিহার করে মানুষের সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগাতে হবে। আবদুল হামিদ বলেন,‘বাংলাদেশের বস্তুগত সম্পদ সীমাবদ্ধ থাকলেও মেধাসম্পদের দিক থেকে আমরা কোনভাবেই পিছিয়ে নেই। তাই এর যথাযথ ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি বলে আমি মনে করি।’
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী সৃজনশীলতার প্রতিযোগিতা চলছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, যেসব জাতি সৃষ্টিশীলতায় অগ্রণী তারাই পৃথিবীর নেতৃত্ব দিচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে ‘আমাদের সীমিত সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের উপায় খুঁজে বের করতে হবে’। তিনি বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস উপলক্ষ্যে দেশের সকল ক্রীড়ামোদী ব্যক্তিত্ব, উদ্ভাবক, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, গবেষকবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে মেধাসম্পদ সংরক্ষণ এবং এর যথাযথ ব্যবহারে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন লালিত স্বপ্ন ছিল একটি সুস্থ-সবল জ্ঞানভিত্তিক জাতি গঠন করা। সে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপায়িত করার দায়িত্ব বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের হাতে। ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হবে। তিনি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এ অনুষ্ঠান দ’ুটি অত্যন্ত সাড়ম্বরে উদযাপনের জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতি বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবসের সার্বিক সফলতা কামনা করেন।