বাসস প্রধানমন্ত্রী-৫ : ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হব: প্রধানমন্ত্রী

114

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৫
শেখ হাসিনা-বাণী
২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হব: প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রমের সঙ্গে গ্রামীণ জনগণ ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সক্রিয় অংশগ্রহণ বৃদ্ধির মাধ্যমে এলাকার জনগণের স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের মান আরো উন্নত হবে এবং আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হব। আগামীকাল কমিউনিটি ক্লিনিকের ১৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বৃহষ্পতিবার দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার বিশেষত্ব হল সরকার ও জনগণের সম্মিলিত অংশীদারিত্বে বাস্তবায়িত একটি কার্যক্রম। এ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা এবং স্থায়িত্বের নিমিত্তে ৮ অক্টোবর ২০১৮ কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন পাশ হয় এবং বর্তমানে এ আইনের আওতায় কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে।’
স্বাস্থ্য খাতে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ আমরা এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড ও ন্যাভি অ্যাওয়ার্ডের মতো আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রায় চৌদ্দ হাজার কমিউনিটি হেলথকেয়ার প্রোভাইডার নিয়োগ দিয়েছি। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৮৫ কোটির অধিক ভিজিটের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগণ কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সেবা গ্রহণ করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘২০০১ সালে বিএনপি-জামাত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে এ ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেয়। ২০০৯ সালে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে আমরা আবার কমিউনিটি ক্লিনিকের স্থাপনের কাজ শুরু করি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘নতুন করে কয়েক হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এ পর্যন্ত প্রায় ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে। ২০২২ সালের মধ্যে বাকি ৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডায়েরি থেকে প্রাপ্ত ধারণাই কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার মূলভিত্তি। তিনি চেয়েছিলেন সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬ সালে প্রতি ৬ হাজার জনগোষ্ঠীর জন্য একটি করে দেশব্যাপী সর্বমোট ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্যে ১০ হাজার ৭ শত ২৩ টি ক্লিনিক চালু হয়।’
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী দেশব্যাপী পালিত হতে যাচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ করেন এবং কমিউনিটি ক্লিনিকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে ও সেবা গ্রহীতাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান। একই সাথে তিনি কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
বাসস/তবি/বিকেডি/১৮৫০/কেএমকে