অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হচ্ছে : এলজিআরডি মন্ত্রী

179

ঢাকা, ২৫ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে কিছু অগ্নি দুর্ঘটনায় জানমালের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা কারো কাম্য নয় এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ধরনের দুর্ঘটনা যেন কমিয়ে আনা যায় সেজন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
তাজুল ইসলাম আজ সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে দেশে অগ্নিনির্বাপণ ও প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণী সভায় সভপতির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে বেশ কিছু অগ্নি দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে মন্ত্রীসভা বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রী বলেন, ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ বিষয়ে বাধ্যবাধকতা থাকলেও এর কার্যকারিতা নিয়মিত পরীক্ষা ও পরিবীক্ষণ করা হয় না। তাছাড়া এ বিষয়ে প্রশিক্ষিত ব্যক্তির সংখ্যাও অপ্রতুল। অগ্নিদূর্ঘটনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করাও জরুরী।
এ লক্ষ্যে দেশের সকল স্তরে অগ্নিনির্বাপণ, জরুরি উদ্ধার, জরুরি বহিগর্মন ও প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ফায়ার ড্রিলের আয়োজন করতে মন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকাসহ অন্যান্য জায়গায় জলাধার, লেক প্রভৃতি রক্ষা করতে হবে। মানুষ আইন মেনে বিল্ডিং তৈরি করছে কিনা সেদিকে নজর রাখতে হবে। একইভাবে যাদের উপর ভবনের নকশা অনুমোদন ও তদারকির দায়িত্ব দেয়া হয় তাদেরকেও পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।
সভায় উপস্থিত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম তার প্রস্তাবে বলেন, ‘আমরা ২০টি মডেল বিল্ডিং তৈরি করতে পারি, যা হবে অগ্নি প্রতিরোধক।’ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথভাবে পালন করে বিল্ডিং তৈরি করলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে রেয়াত দেয়া যেতে পারে বলে তিনি মতামত দেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব এস এম গোলাম ফারুক ছাড়াও গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, জ¦ালানী ও খনিজ বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, সিটি কর্পোরেশনসমূহ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।