বাসস দেশ-৪০ : মুক্তিযোদ্ধা হারুন-অর-রশীদের সম্পত্তি আত্মসাতের অপচেষ্টার অভিযোগ

570

বাসস দেশ-৪০
মুক্তিযোদ্ধা-অভিযোগ
মুক্তিযোদ্ধা হারুন-অর-রশীদের সম্পত্তি আত্মসাতের অপচেষ্টার অভিযোগ
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : একটি জালিয়াত চক্র বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন-অর-রশীদের সম্পত্তি আত্মসাতের অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রয়াত হারুন-অর-রশীদের স্ত্রী কানিজ ভূঁইয়া এই অভিযোগ করেন।
হারুন-অর-রশীদ ভূঁইয়া ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ জয়দেবপুরে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধে নেতৃত্ব দেন। কানিজ ভূঁইয়া বলেন, জাতির এই বীর সন্তান জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত দেশ ও জনগণের সেবায় নিবেদিত ছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য আজ এই বীর মুক্তিযোদ্ধার ওয়ারিশদের তার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে একটি জালিয়াত চক্র উঠে-পড়ে লেগেছে।
সংবাদ সম্মেলনে কানিজ ভূঁইয়া বলেন, হারুন-অর-রশিদ ভূঁইয়ার বাবার নাম নুরুদ্দিন ভূঁইয়া। তিনি মারা যাওয়ার সময় ৯ সন্তান রেখে যান। হারুন-অর রশিদ ছিলেন সবার বড়। ২০১৬ সালে হারুন-অর রশিদের ২ ভাই ও ৫ বোন মিলে তার আরেক বোন গুলনাহার বেগমের সই জাল করে ভুয়া পাওয়ার অব এটর্নির মাধ্যমে পিতার সম্পদের ৮.২৫ একর থেকে আমাদের বঞ্চিত করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। বর্তমানে তারা উল্লেখিত সম্পত্তি বিক্রির চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, এই জালিয়াত চক্রের কর্মকান্ডে আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আমরা আশংকা করছি যে, ভুয়া পাওয়ার অব এটর্নি দাতা ও গ্রহীতারা পরস্পর যোগসাজশে যে কোন সময় আমার পরিবারের চরম ক্ষতি করতে পারে। নিরাপত্তাহীনতার কারণে আমার পুত্র আশিফ রশীদ গত ১০ মার্চ গাজীপুর সদর থানায় জিডি (নং৪৯৯) করেছে।
কানিজ ভূঁইয়া বলেন, আমার স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন-অর-রশিদ ভূঁইয়া ১৯৫০ সালে জয়দেবপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের উপর পশ্চিমা শাসক গোষ্ঠীর নিপীড়নের বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার ছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন আন্দোলনে হারুন অর রশীদ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ ২য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট টাঙ্গাইলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে তিনি সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন ও ১৯ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী প্রতিরোধে জয়দেবপুরে প্রথম সশস্ত্র যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। হারুন-অর-রশিদ বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সেরও সদস্য ছিলেন।
বাসস/সবি/এবিএইচ/২০৪০/এবিএইচ