বাসস দেশ-২৯ : শব্দদূষণের বিরূপ প্রভাব ঠেকাতে জনসচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন : পরিবেশ ও বন মন্ত্রী

175

বাসস দেশ-২৯
শব্দ সচেতনতা – দিবস
শব্দদূষণের বিরূপ প্রভাব ঠেকাতে জনসচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন : পরিবেশ ও বন মন্ত্রী
ঢাকা,২৪ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, শব্দদূষণের বিরূপ প্রভাব ঠেকাতে জনসচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে শব্দ এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘শব্দ যখন সহনশীলতার মাত্রা অতিক্রম করে তখনই সেটাকে আমরা শব্দদূষণ বলে থাকি। অর্থাৎ আইনের ভাষায় বলতে গেলে শব্দের সহনীয় মানমাত্রা অতিক্রমকারী শব্দই ‘শব্দদূষণ’।’
মন্ত্রী আজ শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উপলক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজিত এক সভায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নগরায়ন, শিল্পায়ন, মানুষের দৈনন্দিন কাজকর্ম, যানবাহন, যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদির অপরিকল্পিত ব্যবহারের কারণে দূষণ সৃষ্টি হয়। আর অপরিকল্পিত ব্যবহার হয়ে থাকে অব্যবস্থাপনা কিংবা আইনি দুর্বলতা কিংবা আইনের প্রয়োগহীনতার কারণে। শব্দদূষণ মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে উল্লেখ করে তিনি মন্ত্রী বলেন,শব্দদূষণের কারণে মানুষের মাথা ধরা, শ্রবণ শক্তি হ্রাস, মেজাজ খিটখিটে হওয়া, মনসংযোগ নষ্ট ও অনিদ্রাসহ নানা ধরণের সমস্যা সৃষ্টি হয়। শব্দদূষণ সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে শিশু ও বয়স্কজনদের। বিশেষ করে গর্ভবতী মা এবং হৃদরোগে আক্রান্ত মানুষের জন্য উচ্চ মাত্রার শব্দ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। শব্দদূষণের ফলে মানুষের মানসিক ও শারীরিক সমস্যা তৈরি হয় এবং শিশুদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত করে। রাস্তাঘাটে অপ্রয়োজনীয় হর্ন বাজিয়ে যারা শব্দ দূষণ করে তাদেরকে সচেতন করে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার ও পরিবেশ ও বন সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী। পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সুলতান আহমেদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব যথাক্রমে ড. মোঃ বিল্লাল হোসেন, এ. এম. মনসুরুল আলম, মোঃ মোজাহেদ হোসেন, ড. নূরুল কাদির, মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/সবি/জেডআরএম/১৮৩০/কেএমকে