বাসস ক্রীড়া-৫ : বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশী বয়সী খেলোয়াড়ের তালিকা

225

বাসস ক্রীড়া-৫

ফুটবল- বিশ্বকাপ

বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশী বয়সী খেলোয়াড়ের তালিকা

ঢাকা, ১০ জুন, ২০১৮ (বাসস) : রাশিয়া বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বিশ্বিকাপের ইতিহাসে এ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা-তথ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো এখন প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। তারই ধারাবাহিকতায় গোলডটকম বিশ^কাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশী বয়সী খেলোয়াড়ের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে।নিজ নিজ দেশের হয়ে বিশ^কাপে এ পর্যন্ত অংশ নেয়া সবচেয়ে বেশ বয়সী কয়েকজন খেলোয়াড়ের তথ্য এখানে উপস্থাপন করা হলো :
১.মারিও ইয়েপেস (কলম্বিয়া, ৩৮ বছর ৫ মাস ২১ দিন) :প্যারিস সেইন্ট-জার্মেইর সাবেক সেন্টার ব্যাক মারিও ইয়েপেস কলম্বিয়ার হয়ে ১০২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশ নিয়েছেন। ১৯৯৯ সালে সিনিয়র দলে তার অভিষেক হয়ে ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ^কাপের মাধ্যমে শেষ হয়। ঐ আসরে কলম্বিয়া কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়। ম্যাচটিতে অধিনায়কত্ব করা ইয়েপেসের তখন বয়স ছিল ৩৮ বছর।
২. ভিটোর ডামাস (পর্তুগাল, ৩৮ বছর ৮ মাস ৩ দিন) :১৯৮৬ সালের বিশ^াকাপে পর্তুগাল তিনটি ম্যাচ খেলেছিল। এক ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে পরাজিত করলেও বাকি দুটি ম্যাচে পরাজিত হয়ে গ্রুপের একেবারে তলানির দল হিসেবে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয়। ডামাস ইনজুরি আক্রান্ত ম্যানুয়েল বেনটোর স্থানে দুটি পরাজিত ম্যাচেই খেলেছেন। মেক্সিকো থেকে ফিরেই তিনি অবসরের ঘোষনা দেন।
৩. ডেভিড সিম্যান (ইংল্যান্ড, ৩৮ বছর, ৯ মাস ২ দিন) : ২০০২ সালের ইংল্যান্ড দলটিকে সমর্থকরা স্বর্ণযুগের দল হিসেবে অভিহিত করলেও নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি ইংলিশরা। কোরিয়া/জাপান বিশ^কাপে কোয়র্টার ফাইনালে গিয়ে তাদের থেমে যেতে হয়। ঐ আসরে ৩৮ বছর বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে সিম্যান থ্রি লায়ন্সদের দলে সবচেয়ে সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন।
৪. ইয়ান হেইন্টজে (ডেনমার্ক, ৩৮ বছর ৯ মাস ২০ দিন) : পিএসভি’র সাবেক ফুল-ব্যাক হেইন্টজে ডেনমার্কের হয়ে রেকর্ড ৮৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। ২০০২ সালের কোরিয়া-জাপান বিশ^কাপের পরে তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ হয়। ঐ বিশ^কাপে গ্রুপ পর্বে সেনেগালের সাথে ১-১ গোলের ড্র ম্যাচটিতে ৩৮ বছর বয়সে অধিনায়কত্ব করেছিলেন হেইন্টজে। তবে ইংল্যান্ডের কাছে পরাজিত হয়ে শেষ ১৬ থেকে বিদায় নেয়া ড্যানিশ দলে জায়গা করতে পারেননি।৫. স্ট্যানলি ম্যাথুস (ইংল্যান্ড, ৩৯ বছর ৪ মাস ২৫ দিন) : ১৯৫৭ সালে থ্রি লায়ন্সদের হয়ে ক্যারিয়ারের ইতি টানেন স্ট্যানলি ম্যাথুস। ১৯৫৪ সালে সুইজারল্যান্ড বিশ^কাপই ছিল তার শেষ বিশ^কাপ। উরুগুয়ের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে ৪-২ গোলের জয়ের ম্যাচটিতে ৩৯ বছর বয়সে অংশ নিয়েছিলেন স্ট্যানলি।
৬. জোসেফ এন্টোনি বেল (ক্যামেরুন, ২৯ বছর, ৮ মাস ১৬ দিন) :মার্সেই ও সেইন্ট-এটিয়েনের সাবেক গোলরক্ষক জোজো বেল ক্যামেরুনের হয়ে ৫২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও ক্যারিয়ারে ১৯৮২, ১৯৯০ ও ১৯৯৪ সালের বিশ^কাপে খেলার অভিজ্ঞতা তার রয়েছে।৯৪’র বিশ^কাপে ব্রাজিলের বিপক্ষে ৩-০ গোলের পরাজয়ের ম্যাচটিই ছিল তার শেষ বিশ^কাপ ম্যাচ, ঐ ম্যাচে তার বয়স ছিল ৩৯ বছর।
৭. এ্যাঞ্জেল লাব্রুনা (আর্জেন্টিনা, ৩৯ বছর ৮ মাস ১৮দিন) :রিভার প্লেটের আইকন এ্যাঞ্জেল লাব্রুনা ১৯৫৮ সালে চেক রিপাবলিকের কাছে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত হবার ম্যাচটিতে আজেন্টাইন দলের আক্রমনভাগের নেতৃত্বে ছিলেন। ঐ আসরে ৩৯ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড কোন গোল করতে পারেননি। আর্জেন্টিনার হয়ে ৩৭ ম্যাচে তিনি সর্বমোট ১৭টি গোল করেছিলেন।
৮. ডেভিড জেমস (ইংল্যান্ড, ৩৯ বছর ১০ মাস ২৬ দিন) :২০১০ সালে জাতীয় দল থেকে অবসরের ঠিক আগে ডেভিড জেমসের সাথে ইংল্যান্ড দলের সম্পর্কটা অনেকটাই আবেগপূর্ণ ছিল। ঐ বছরই দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ^কাপের মাধ্যমে ক্যারিয়ারের শেষ বিশ^কাপ ম্যাচ খেলেছেন জেমস। প্রায় ৪০ বছর বয়সে জার্মানীর কাছে ৪-১ গোলের পরাজিত ম্যাচটি ছিল তার ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
৯. জিম লেইটন (স্কটল্যান্ড, ৩৯ বছর ১০ মাস ৩০ দিন) : ১৯৯৮ সালে স্কটল্যান্ডের হয়ে শেষ বিশ^কাপ খেলেছেন লেইটন। আসরটিতে স্কটল্যান্ড কোন সাফল্যই দেখাতে পারেনি। গ্রুপ পর্বে ব্রাজিল ও মরক্কোর কাছে পরাজিত হলেও নরওয়ের সাথে কোনরকমে ড্র করে। আর এর মাধ্যমে জিম লেইটন ও তার স্কটিশ সতীর্থরা খালি হাতে দেশে ফিরে। তিনটি ম্যাচেই খেলা লেইটনের তখন বয়স ছিল ৪০ বছর।
১০. আলি বোমনিজেল (তিউনিশিয়া, ৪০ বছর ২ মাস ১০ দিন) :২০০৬ সালে ইউক্রেনের কাছে ১-০ গোলের পরাজয়ের ম্যাচটিতে ৪০ বছর বয়সী আলি বোমনিজেল ছিলেন তিউনিশিয়ার নাম্বার ওয়ান খেলোয়াড়। গ্রুপ পর্বে তিউনিশিয়া তৃতীয় স্থান লাভ করে। এর এক বছর পরেই বোমনিজেল আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষনা দেন।
১১. ডিনো জফ (ইটালি, ৪০ বছর ৪ মাস ১৩ দিন) :১৯৮২ সালের বিশ^কাপে কিংবদন্তী গোলরক্ষক ডিনো জফ নিজেকে দারুনভাবে প্রমান করেছিলেন। মাদ্রিদের ৯০ হাজার দর্শকের সামনে পশ্চিম জার্মানীকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ইটালির শিরোপা দখল করার মূল কারিগর ছিলেন জফ। এর আগে টুর্নামেন্টে ইটালি চতুর্থ স্থান লাভ করেছিল, ঐ আসরেও খেলেছিলেন জফ।
১২. পিটার শিলটন (ইংল্যান্ড, ৪০ বছর ৯ মাস ১৯ দিন) :ইংল্যান্ডের অন্যতম সফল এই গোলরক্ষক ৪০ বছর বয়সে সর্বশেষ বিশ^কাপের ম্যাচ খেলেছেন। পশ্চিম জার্মানীর কাছে সেমিফাইনালে পরাজিত হবার পরে তৃতীয় স্থান নির্ধারনী ম্যাচটিতেও ২-১ গোলে পরাজিত হয়েছিল ইংল্যান্ড। ঐ ম্যাচটিই ছিল শিলটনের বিশ^কাপ ক্যারিয়ারের সর্বশেষ ম্যাচ।১৩. প্যাট জেনিংস (নর্দান আয়ারল্যান্ড, ৪১ বছর)
১৯৮৬ সালে নর্দান আয়ারল্যান্ডের হয়ে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছিলেন প্যাট জেনিংস। কিন্তু তারপরেও এখন পর্যন্ত দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড ধরে রেখেছেন। ১৯৮৬ সালে বিশ^কাপের সর্বশেষ ম্যাচে ওয়ার্টফোর্ড, টটেনহ্যাম ও আর্সেনালের সাবেক এই গোলরক্ষক ব্রাজিলের বিপক্ষে ৪১ বছর বয়সে খেলতে নেমেছিলেন।
১৪. রজার মিলা (ক্যামেরুন, ৪২ বছর ১ মাস ৮ দিন) : ক্যামেরুনের সাবেক এই জাতীয় দলের খেলোয়াড় রজার মিলা তিনটি বিশ^কাপে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৮২, ১৯৯০ ও ১৯৯৪ সালে তিনি বিশ^কাপের আসরে নিজেকে মেলে ধরেছিলেন। রাশিয়ার বিপক্ষে ৬-১ গোলের পরাজয়ের ম্যাচটিতে ১৯৯৪ সালে বিশ^কাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশী বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে মিলা গোল করার কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন।
১৫. ফারিড মোনড্রাগন (কলম্বিয়া, ৪৩ বছর, ৩ দিন) :৪৩ বছর বয়সে অংশ নিয়ে সাবক ইন্ডিপেন্ডেন্টে, গ্যালাতাসারে ও কোলনের গোলরক্ষক ফারিড মোনড্রাগন এখন পর্যন্ত বিশ^কাপে প্রতিনিধিত্ব করা সবচেয়ে বেশী বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে রেকর্ড ধরে রেখেছেন। ২০১৪ সালে জাপানের বিপক্ষে ৪-১ গোলের জয়ের ম্যাচটিতে মোনড্রাগন এই রেকর্ড গড়েন। বাসস/গোল ডট কম/নীহা/স্বব বাসস ক্রীড়া-৫ফুটবল-বিশ^কাপবিশ^কাপের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড়দের তালিকাঢাকা, ১০ জুন ২০১৮ (বাসস) : ২০১৮ রাশিয়া বিশ^কাপের সময় যতই এগিয়ে আসছে, টুর্নামেন্ট ঘিড়ে উত্তেজনা ততই বাড়ছে। বিশে^র গণমাধ্যমগুলোও এখন বিশ^কাপের সংবাদ প্রচারে একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতায় মত্ত হয়ে উঠেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গোলডটকম বিশ^কাপের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড়ের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে।নিজ নিজ দেশের হয়ে বিশ^কাপে এ পর্যন্ত অংশ নেয়া সবচেয়ে কম বয়সী কয়েকজন খেলোয়াড়ের তথ্য এখানে উপস্থাপন করা হলো : ১.ক্রিস উড (নিউজিল্যান্ড, ১৮ বছর ৬ মাস ৮ দিন) :ক্রিস উডকে নিয়ে নিউজিল্যান্ড ফুটবল দীর্ঘদিন ধরেই বেশ আশাবাদী ছিল। ২০০৭ সালে ফিফা অনুর্ধ্ব-১৭ বিশ^কাপে দলকে নেতৃত্ব দেবার পরে উডের সিনিয়র দলে খেলাটা সময়ের ব্যপার ছিল। অবশেষে ২০০৯ সালে কনফেডারেশন্স কাপকে সামনে রেখে প্রথমবারের মত জাতীয় দলে ডাক পান। ২০১০ সালে প্রথমবারের মত বিশ^কাপের দলে সুযোগ পান। গ্রুপ পর্বে ক্রিস কিলেনের পরিবর্তে স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে সুযোগ পান এই স্ট্রাইকার। ম্যাচটিতে নিউজিল্যান্ড ১-১ গোলে ড্র করে বিশ^কাপের মূল পর্বে প্রথমবারের মত পয়েন্ট সংগ্রহ করে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে উড বার্নালির হয়ে খেলে থাকেন।২. মাইকেল ওয়েন (ইংল্যান্ড, ১৮ বছর ৬ মাস ১ দিন) :ইংলিশ ফুটবলের একসময়ের গোল্ডেন বয় মাইকেল ওয়েন দেশের হয়ে তিনটি বিশ^কাপে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। আর প্রতিটি আসরেই গোল করার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। ১৯৯৭ সালে ফিফা ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশীপে ইংল্যান্ডের অনুর্ধ্ব-১৭ দলের হয়ে ওয়েন চার ম্যাচে তিন গোল করেছেন। আর এই পারফরমেন্সের পরেই লিভারপুলে এই তরুনের মাত্র ১৮ বছর বয়সে ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের জার্সি গায়ে পড়ার সুযোগ হয়। এরপর ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে বিশ^কাপের দলে জায়গা করে নেন। তিউনিশিয়ার বিপক্ষে থ্রি লায়ন্সদের হয়ে ২-০ গোলের জয়ের ম্যাচটিতে টেডি শেরিংহ্যামের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন ওয়েন।৩. আসিমিও তোরে (টোগো, ১৮ বছর ৫ মাস ১২ দিন) : বায়ার লিভারকুসেন থেকে ডিগ্রীপ্রাপ্ত তোরে ২০০৬ সালের বিশ^কাপে টোগোর জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার আগে দুইবার জার্মানী অনুর্ধ্ব-১৮ দলের হয়ে খেলেছেন। বিশ^কাপের ঐ আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেবার আগে টোগোর হয়ে তিনটি গ্রুপ ম্যাচের দুটিতেই খেলেছেন তোরে।৪. ভিনসেন্ট আবুবাকার (ক্যামেরুন, ১৮ বছর ৪ মাস ২৮ দিন) : ক্যামেরুনের হয়ে ৬৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন এই পোর্তো ফরোয়ার্ড। কিন্তু ২০১০ সালের বিশ^কাপে মাত্র ১৮ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার প্রথম সাফল্য সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ডেনমার্কের বিপক্ষে পিয়েরে ওয়েবোর বদলী হিসেবে ঐ আসরে তার অভিষেক হয়।  ৫. বারটাস ডি হার্ডার (নেদারল্যান্ড, ১৮ বছর ৪ মাস ২ দিন) :নেদারল্যান্ডের জাতীয় দলের হয়ে বারটাস ডি হার্ডার মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলেছেন। ১৯৩৮ সালে ফ্রান্সের বিপক্ষে তিনি ক্যারিয়ারে বিশ^কাপের একমাত্র ম্যাচটি খেলেছেন। চেকোস্লোভাকিয়ার বিপক্ষে মাত্র ১৮ বছর বয়সে ডি হার্ডারের বিশ^কাপ অভিষেক হয়েছিল। ঐ আসরে নেদারল্যান্ড শেষ ১৬ থেকে বিদায় নেয়।৬. ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন (ডেনমার্ক, ১৮ বছর ৪ মাস) :২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ^কাপ ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের অভিষেক হয়। নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে ডেনমার্কের ২-০ গোলের গ্রুপ পর্বের পরাজিত ম্যাচটিতে থমাস কাহলেনবার্গের বদলী হিসেবে ম্যাচের শেষ দিকে মাঠে নেমেছিলেন এরিকসেন। ৮ বছর পরে দেশের হয়ে ১০০টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে এরিকসেন ২০১৮ রাশিয়া বিশ^কাপে ডেনমার্কের অন্যতম নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় হিসেবে পেরু, অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রান্সের বিপক্ষে নিজেকে প্রমানের অপেক্ষায় রয়েছেন।৭. ম্যানুয়েল রোসাস (মেক্সিকো, ১৮ বছর ২ মাস ২৬ দিন) :বিশ^কাপের ইতিহাসে পেনাল্টি থেকে সর্বপ্রথম গোল করার রেকর্ড রয়েছে ম্যানুয়েল রোসাসের।১৯৩০ সালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মেক্সিকান এই স্ট্রাইকার স্পট কিক থেকে ঐ গোল করেছিলেন। একইসাথে সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে বিশ^কাপে গোল করার কৃতিত্বও রোসাসের। ১৮ বছর ২ মাস ২৬ দিন বয়সে ফ্রান্সের বিপক্ষে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে তার অভিষেক হয়েছিল। ৮. কারভালহো লিয়েটে (ব্রাজিল, ১৮ বছর ২৫ দিন) :১৯৩০ সালের বিশ^কাপে বলিভিয়া ও ইগোস্লোভিয়ার সাথে গ্রুপ পর্বে লড়াইয়ে নেমেছিল ব্রাজিল।  গ্রুপের শীর্ষ দল হিসেবে তাদেরকে বিবেচনা করা হলেও শেষ পর্যন্ত মাত্র দুই ম্যাচ খেলেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয়। বলিভিয়ার বিপক্ষে কারভালহো লিয়েটের টিনএজ বয়সে অভিষেক হয়। ২০০৪ সালে ৯২ বছর বয়সে ১৯৩০ সালের বিশ^কাপ দলের একমাত্র সদস্য হিসেবে তিনি বেঁচে ছিলেন। ৯. রিগোবার্ট সং (ক্যামেরুন, ১৭ বছর ১১ মাস ১৮ দিন) :আন্তর্জাতিক ফুটবলের সাথে রিগোবার্ট সংয়ের সম্পর্কটা বেশ দীর্ঘ। ১৯৯৪, ১৯৯৮, ২০০২ ও ২০১০ সালে চারটি বিশ^কাপে তিনি ক্যামেরুনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। সর্বপ্রথম মাত্র ১৭ বছর বয়সে তার বিশ^কাপ অভিষেক হয়েছিল। ১৯৯৪ সালের ১৯ জুন সুইডেনের সাথে ২-২ গোলের ড্র ম্যাচটিতে সংয়ের বিশ^কাপ অভিষেক হয়। পরের ম্যাচেই অবশ্য ব্রাজিলের বিপক্ষে তাকে লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ত্যাগ করতে হয়েছিল। ১০. বার্থোলোমেও ওগবেচে (নাইজেরিয়া, ১৭ বছর ৮ মাস ১ দিন) : ২০০২ সালের জাপান ও কোরিয়া বিশ^কাপ নাইজেরিয়ার জন্য হতাশাজনক হলেও বার্থোলোমে ওবেচের জন্য সারা জীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। মাত্র ১৭ বছর বয়সে প্যারিস সেইন্ট-জার্মেইর এই তরুন তুর্কি গ্রুপ পর্বে সুপার ঈগলসের দুটি ম্যাচে খেলেছিলেন। জাতীয় দলের হয়ে ১১টি ম্যাচ খেলার পর মাত্র বিশ^কাপের মাত্র দুই বছর রেই তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষনা দেন। ১১. পেলে (ব্রাজিল, ১৭ বছর ৭ মাস ২৩ দিন) :ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তী পেলে প্রথম বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন ১৯৫৮ সালের সুইডেনে যখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর ৭ মাস ২৩ দিন। সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ের ম্যাচে তার বিশ্বকাপ অভিষেক হয়। বিশ্বকাপের ইতিহাসে ঐ সময় সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন পেলে। একই আসরে ফ্রান্সের বিপক্ষে ৫-২ গোলের জয়ের ম্যাচে পেলে হ্যাটট্রিক করেছিলেন। সেলেসাওদের হয়ে ফাইনালে শিরোপা জয়ের পথে পেলে দুই গোল করেছিলেন। ১২. সালোমোস ওলেম্বে (ক্যামেরুন, ১৭ বছর ৬ মাস ৩ তিন) : লিডস ও উইগানের সাবেক মিডফিল্ডার সালোমোন ওলেম্বের ১৮তম জন্মদিনের ৬ মাস আগে বিশ্বকাপ অভিষেক হয়েছিল। ১৯৯৮ সালে অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে তিনি বদলী খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন, ম্যাচটিতে ক্যামেরুন ১-১ গোলে ড্র করে। ২০০৭ সালের অবসরের আগ পর্যন্ত ক্যামেরুনের জার্সি গায়ে ৬৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ওলেম্বে।১৩. ফেমি ওপাবুনমি (নাইজেরিয়া, ১৭ বছর ৩ মাস ৯ দিন) : নাইজেরিয়ার হয়ে ফেমি ওপাবুনমির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার খুব বেশী দীর্ঘ ছিলনা। কিন্তু ২০০২ সালে এশিয়া বিশ্বকাপে তিনি দলের সাথে ছিলেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে তিনি নাইজেরিয়ার হয়ে মাঠে নেমেছিলেন। ম্যাচটি গোলশুন্য ড্র হয়। ইনজুরির কারনে ২০০৬ সালে সব ধরনের ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষনা দেন এই উইঙ্গার। সুপার ঈগলসদের হয়ে তিনি মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলেছেন। ১৪. স্যামুয়েল ইতো (ক্যামেরুন, ১৭ বছর ৩ মাস ৭ দিন) : ১৯৯৭ সালে ১৬তম জন্মদিনের মাত্র একদিন আগে ক্যামেরুনের জার্সি গায়ে স্যামুয়েল ইতোর আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল। আর এর ঠিক এক বছর পরে ১৯৯৮ সালে ফ্রান্স বিশ্বকাপে সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে তিনি অংশ নিয়েছিলেন। মাত্র ১৭ বছর বয়সে ইতো ইতালির বিপক্ষে বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলতে মাঠে নামেন। ম্যাচটিতে ক্যামেরুন ৩-০ গোলে পরাজিত হয়েছিল। বার্সেলোনা, ইন্টার মিলান ও চেলসির সাবেক এই ফরোয়ার্ড ক্যামেরুনের হয়ে ১১৮টি ম্যাচ খেলে অবসর নিয়েছেন। দেশের হয়ে এটি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে কোন খেলোয়াড়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচ। এই তালিকায় সর্বাগ্রে রয়েছে রিগোবার্ট সং। ১৯. নরমান হোয়াইটসাইড (নর্দান আয়ারল্যান্ড, ১৭ বছর ১ মাস ১০ দিন) : ১৯৮২ সালে স্পেনের মাটিতে ইয়োগোস্লোভিয়ার বিপক্ষে খেলতে নেমে বিশ্বকাপে সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে অংশগ্রহণে পেলের রেকর্ড ভাঙ্গেন নরমান হোয়াইটসাইড। ম্যাচটি গোলশুণ্য ড্র হয়েছিল। নর্দান আয়ারল্যান্ড এরপর হন্ডুরাসের সাথে ড্র করার পরে স্বাগতিক স্পেনকে পরাজিত করে। কিন্তু এরপর নক আউপ পর্বের প্রথম ম্যাচেই পরাজিত হয়ে বিদায় নেয়। যদিও হোয়াইটসাইড জাতীয় দলের হয়ে পাঁচটি ম্যাচেই অংশ নিয়েছিলেন।বাসস/গোল ডট/নীহা/১৭২৫/স্বব