সিপিডি’র বক্তব্য অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য : তথ্যমন্ত্রী

416

ঢাকা, ২৪ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারের ১০০ দিনের কর্মসূচি নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) যে কথা বলেছে তা অনভিপ্রেত, অগ্রহণযোগ্য।
মন্ত্রী বলেন, ‘সিপিডি সরকারের ১০০ দিন পার হওয়ার পর যে রিঅ্যাকশান দিয়েছে এটি অনভিপ্রেত, অগ্রহণযোগ্য। গত ১০ বছর ধরে দোষ খুঁজে বেড়ানো তাদের যে স্বাভাবিক প্রবৃত্তি, এটিও তারই অংশ।’
তথ্যমন্ত্রী আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই সময়ে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা সব মিলিয়ে দুই থেকে আড়াই গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, গত ১০ বছর ধরে সিপিডি শুধু দোষই খুঁজে বেড়িয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘তারা বাজেটের আগে একবার দোষ খোঁজে, বাজেটের পরে একবার খোঁজে, বছরান্তে একবার খোঁজে, সব সময় দোষ খুঁজে বেড়ায়। তাহলে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন জাগে সিপিডি কাজ কি শুধু দোষ খুঁজে বেড়ানো? এই যে অগ্রগতি গত ১০ বছরে হয়েছে দুঃখজনক হলেও সত্য এটি তারা দেখেন না। এটি তাদের দৈন্যতা এবং ব্যর্থতা।’
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশে গত ১০ বছরে অভুতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ স্বল্প আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নিত হয়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয় তিন গুণের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে আগে ৬০০ ডলার ছিল যা এখন ২০০০ হাজার ডলারে পৌঁছেছে।’
তিনি বলেন, আজ সমগ্র পৃথিবী দেখছে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং এর প্রশংসা করছে। গত ১০০ দিনে সরকার অনেকগুলো কাজ করেছে বিশেষ করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন। অথচ সিডিপি এগুলো দেখতে পাচ্ছে না। এটি তাদের ব্যর্থতা। তবে, আমরা আশা করবো সিপিডি তাদের ব্যর্থতা কাটিয়ে সরকার যে অগ্রগতি ও উন্নয়ন করছে সেটির দিকে দৃষ্টি দেবে।
বিএনপির সংসদে যাওয়া নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি গত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেও সংসদে যাচ্ছে না। বিএনপি একটি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য যে ধরণের উদ্যোগ ও আয়োজন দরকার ছিল সেটি তারা করেনি। তারা যদি সঠিকভাবে কাজ করতো, নমিনেশন বাণিজ্য যদি না হতো তারা আরো বেশি আসন পেতে পারতো।
তিনি বলেন, তারা নির্বাচিত হওয়ার পর যে সংসদে যাবে না বলছে, শপথ নেবে না বলছে, এটি জনগণ প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ ছাড়া আর কিছু না। এটি রাষ্ট্রের প্রতিও অবজ্ঞা প্রকাশ করা।
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মহাপরিকল্পনার এটি একটি অংশ। গত নির্বাচনের তারা অংশ গ্রহণ করেছিল নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যে, যে কারণে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেও তারা করেনি। আর এখন যে সংসদে তারা শপথ গ্রহণ করবে না বলছে এটিও গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করার, গণতন্ত্রের যাত্রাকে ব্যাহত করার ষড়যন্ত্রের অংশ। তবে, এতে গণতন্ত্র ব্যাহত হবে না, গণতন্ত্রের যে অব্যাহত অভিযাত্রা এটি বজায় থাকবে। বরং বিএনপি নিজেকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।