নাটোরে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু

271

নাটোর, ২৩ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : জেলা সদর ও সিংড়া উপজেলায় আজ বাড়ি বাড়ি যেয়ে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এবারই প্রথমবারের মত তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে হিজরাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হচ্ছে। নাটোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহরিয়াজ সকালে নাটোর সদরের বঙ্গজল এলাকার একটি বাড়িতে গিয়ে তথ্য সংগ্রহকারীর হাতে তথ্য সংগ্রহ ফরম তুলে দিয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, সংগৃহীত তথ্য নির্ভূল হতে হবে । তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্তির উপযোগী সবাইকে তালিকায় অন্তর্ভূক্তিতে উদ্বুদ্ধকরণে জনপ্রতিনিধি ও সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রহিম, নাটোর সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম, নাটোর পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরহাদ হোসেন অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
তথ্য সংগ্রহকারী শারমিন সুলতানা বঙ্গজল এলাকার ব্যবসায়ী বিজয় দেবনাথের বাড়িতে যেয়ে তাঁর ছেলে আকাশ দেবনাথের নামসহ আনুষঙ্গিক তথ্যাবলী নির্ধারিত ফরমে লিপিবদ্ধ করেন। এ সময় সুপারভাইজার নায়েব উল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, যাদের বয়স ১৫ থেকে তদুর্ধ অথবা জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারি ২০০৪ এর আগে-তাদেরকে তথ্য সংগ্রহ তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করে ডাটাবেজ তৈরী করা হবে। এছাড়া বিদ্যমান ভোটার তালিকায় নাম থাকা মৃত ব্যক্তিদের নাম ভোটার তালিকা থেকে কর্তন করা হবে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রহিম বাসস’কে বলেন, বাড়িতে বাড়িতে যেয়ে তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম ১৩ মে পর্যন্ত চলবে। সংগৃহীত তথ্যে নাম অন্তর্ভূক্ত হওয়া ব্যক্তিদের নিবন্ধন অর্থাৎ ছবি তোলার কার্যক্রম ১৩ মে থেকে শুরু হবে। ১৮ বছর বয়সীদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হবে এবং ডাটাবেজে থেকে যাওয়া ১৮ বছরের কম বয়সীদের নাম ১৮ বছর পূর্ণ হলে পর্যায়ক্রমে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হবে।
দুইটি উপজেলায় মোট ১৬৩ জন তথ্য সংগ্রহকারী এবং ৬২ জন সুপারভাইজার তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রমে নিয়োজিত আছেন। ইতোপূর্বে সংশ্লিষ্ট উপজেলায় তাদের একদিনের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় বলে নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, নাটোর সদর উপজেলার বর্তমান মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৪০ হাজার ৬৭২ জন এবং সিংড়া উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৭৬ হাজার ১৭০ জন। আশা করা হচ্ছে হালনাগাদ কার্যক্রমে ভোটার সংখ্যা দশ ভাগ বৃদ্ধি পাবে।