বাসস দেশ-১৬ : কলকাতাস্থ ‘বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে’ প্রথম পতাকা উত্তোলন দিবস ও নিউইয়র্কে মুজিবনগর দিবস পালিত

160

বাসস দেশ-১৬
মুজিবনগর দিবস-পালিত
কলকাতাস্থ ‘বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে’ প্রথম পতাকা উত্তোলন দিবস ও নিউইয়র্কে মুজিবনগর দিবস পালিত
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : বহির্বিশ্বে ভারতের কলকাতায় বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে কলকাতাস্থ ‘বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে’ আজ বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অপরদিকে,যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের কার্যালয়ের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস’ পালিক হয়েছে। আজ ঢাকায় প্রাপ্ত পৃথক তথ্যবিবরণী থেকে এ কথা জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় প্রাপ্ত তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, কলকাতা মিশনে প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলিত হয়েছিল ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল। এর আগের দিন ১৭ এপ্রিল কুষ্টিয়ার মেহেরপুরের বৈদ্যনাথ তলায় (বর্তমান মুজিবনগর) বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নেয়। পরদিনই (১৮এপ্রিল’৭১) কলকাতায় তৎকালিন পাকিস্তানের মিশন বাংলাদেশ মিশন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার উপ-হাইকমিশন কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলনের নিয়ম মেনে জাতীয় সংগীতের সাথে-সাথে বাংরাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।
কলকাতায় নিযুক্ত উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান পতাকা উত্তোলন করেন। পতাকা উত্তোলন শেষে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর দিক নির্দেশনায় দেশের মানুষ এক হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যদিয়ে দেশকে স্বাধীন করে। এর ফলে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশের নাম স্বাধীন দেশ হিসেবে স্থান করে নিয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল কলকাতায় পাকিস্তানের উপ-হাইকমিশনে কর্মরত ৭০ জন বাঙালি কর্মকর্তা-কর্মচারী বাংলাদেশের আনুগত্য ঘোষণা করে পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে ফেলে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন।
এদিকে নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের কার্যালয়ে মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ১৭ এপ্রিল বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ঢাকায় প্রাপ্ত তথ্যবিবরণীতে বলা হযেছে,অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনপূর্বক এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এছাড়াও শহীদদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। পরে কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে মুজিবনগর সরকারের ঐতিহাসিক ভূমিকা সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তিনি বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনন্য অবদানের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত মুজিবনগর সরকার গঠনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। কনসাল জেনারেল প্রবাসে বসবাসরত নতুন প্রজন্মের মাঝে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানানোর আহ্বান জানান। এ সময় তিনি স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণ করে জাতির পিতার স্বপ্ন ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠার জন্য সকলকে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান।
কনস্যুলেট জেনারেলের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/তবি/জেডআরএম/১৭৩১/কেএমকে