বাসস দেশ-১২ : শতভাগ কাজ আদায়ের স্বার্থে ঠিকাদারদের অগ্রিম বিল দেয়া বন্ধের নির্দেশ মৎস্য প্রতিমন্ত্রীর

119

বাসস দেশ-১২
খসরু-প্রকল্প-মূল্যায়ন-সভা
শতভাগ কাজ আদায়ের স্বার্থে ঠিকাদারদের অগ্রিম বিল দেয়া বন্ধের নির্দেশ মৎস্য প্রতিমন্ত্রীর
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, শতভাগ কাজ আদায়ের স্বার্থে ঠিকাদারদের অগ্রিম বিল দেয়া বন্ধসহ তিনবার কাজের ব্যর্থতার জন্য চুক্তিতে ঠিকারদারদের কালো তালিকাভূক্তির শর্ত যুক্ত করতে প্রকল্প পরিচালকদের নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়াধীন মৎস্য উপখাতের ২২টি চলমান প্রকল্পের গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত নয় মাসের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এই নির্দেশ দেন।
মৎস্য উপখাতের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির এ অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় বিভিন্ন দফতরের মহাপরিচালক, প্রকল্পের পরিচালকসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মৎস্য প্রতিমন্ত্রী খসরু কাজের নিম্নমান, টেন্ডারের শর্তানুযায়ী ঠিকাদারদের নির্ধারিত সময়ে কাজ সমাপ্তিতে ব্যর্থতা, বর্ধিত সময় দেওয়ার পরেও ঠিকাদারদের নিকট থেকে কাজ আদায় করতে না পারা এবং প্রকল্পের কতিপয় কাজে অস্বচ্ছতার ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী দুর্বল ও গদবাঁধা চুক্তির কারণে প্রায়ই লিজদানকৃত সরকারি সম্পত্তি বেহাত হয়ে যায় উল্লেখ করে বলেন, এখন থেকে তা আর হতে দেয়া যাবে না।
সভায় জানানো হয়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মৎস্য উপখাতের ২২টি প্রকল্পে বরাদ্দকৃত ৪ শ’ ১৩ কোটি ৮ লাখ টাকার মধ্যে ৯ মাসে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১ শ’ ৯৬ কোটি টাকা। বিগত অর্থবছরে ২৬টি প্রকল্পে বরাদ্দকৃত ৪ শ’ ৭ কোটি ৩ লাখ টাকার মধ্যে একই সময়ে ব্যয় হয়েছিল মোট প্রায় ১ শ’ ৭৮ লাখ টাকা। ২২টি প্রকল্পের মধ্যে মৎস্য অধিদফতর ১৪টি, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ৫টি, মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন ২টি ও ই-সেবাখাতে একটি প্রকল্প বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপখাতের মোট ৪৫টি প্রকল্পের জন্য চলতি অর্থবছরে সর্বমোট বরাদ্দ আছে ৭ শ’ ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকা এবং উভয়খাতে এই ৯ মাসে ব্যয় হয়েছে মোট ৩ শ’ ৫১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এ সময়ে প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি হয়েছে শতকরা প্রায় ৫৩ ভাগ। কিন্তু বিগত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সর্বমোট ৪৮টি প্রকল্পে বরাদ্দকৃত ৮ শ’ ২৪ কোটি ২৫ লাখ টাকার মধ্যে একই সময়ে ব্যয় হয়েছিল ৪ শ’ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
বাসস/সবি/এমএন/১৬৫২/এসই