বাসস ক্রীড়া-১০
ক্রিকেট-মাশরাফি-সাকিব-মুশফিক-তামিম
এক সঙ্গে রেকর্ডের পথে মাশরাফি-সাকিব-মুশফিক-তামিম
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০১৯ (বাসস) : আগামী মাসে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত বাংলাদেশ দলে আছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবাল। আসন্ন বিশ্বকাপটি মাশরাফি-সাকিব-মুশফিক-তামিমের চতুর্থ আসর। এক সঙ্গে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ বিশ্বকাপ খেলার রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন তারা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি তিনটি বিশ্বকাপ খেলার তালিকায় পেছনে পড়ে যাচ্ছেন বাঁ-হাতি স্পিনার মোহাম্মদ রফিক ও ডান-হাতি ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ আশরাফুল। রফিক ও আশরাফুল ৩টি করে বিশ্বকাপ পখলেন। রফিক ১৯৯৯, ২০০৩ ও ২০০৭ সালে এবং অ্যাশ ২০০৩, ২০০৭ ও ২০১১ সালে বিশ্বকাপে অংশ নেন।
২০০৩ সালে প্রথম বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পান বাংলাদেশের বর্তমান অধিনায়ক মাশরাফি। এরপর ২০০৭, ২০১৫ আসরে খেলেন তিনি। ২০১১ সালে দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে খেলা হয়নি ম্যাশের। ঐ আসরে খেলতে পারলে, গেল বিশ্বকাপেই বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি বড় আসরে খেলার রেকর্ড গড়তেন মাশরাফি। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ১৬টি ম্যাচে অংশ নিয়েছেন মাশরাফি। ব্যাট হাতে ১৬৫ রান ও ১৮ উইকেট শিকার করেছেন ম্যাশ। তার নেতৃত্ব ২০১৫ বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে কোয়ার্টারফাইনালে উঠেছিলো বাংলাদেশ।
আগামী বিশ্বকাপে মাশরাফির ডেপুটি সাকিব ২০০৭, ২০১১ ও ২০১৫ আসরে খেলেছিলেন। ২০১১ সালের আসরে দলকে নেতৃত্ব দেন সাকিব। তার নেতৃত্বে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিশ্বকাপ শেষ করে টাইগাররা। দেশের মাটিতে হওয়া ঐ আসরে গ্রুপ পর্বে ৬ ম্যাচে ৩ জয় ও ৩ হারের স্বাদ নেয় বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে সমান ৬ পয়েন্ট পেলেও, রান রেটে পিছিয়ে থেকে গ্রুপ পর্ব থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করে বাংলাদেশ। ৬ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থেকে ‘বি’ গ্রুপের শেষ দল হিসেবে কোয়ার্টারফাইনালে উঠেছিলো ক্যারিবীয়রা।
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ২১টি ম্যাচে অংশ নিয়েছেন সাকিব। ব্যাট হাতে ৫৪০ রান ও ২৩ উইকেট শিকার করেছেন সাকিব।
সাকিবেবর মত বিশ্বকাপের মঞ্চে ২১টি করে ম্যাচ খেলেছেন মুশফিক-তামিমও। যা বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড। মুশফিক ব্যাট হাতে ৫১০ রান ও ১৮টি ডিসমিসাল করেন। তামিম ব্যাট হাতে ৪৮৩ রান। কিন্তু এদের কেউই বিশ্বকাপের মঞ্চে সেঞ্চুরি করতে পারেননি। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দু’টি সেঞ্চুরি রয়েছে। দু’টিই করেছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তাও দু’টি সেঞ্চুরি হয়েছে গেল বিশ্বকাপে। পুল ‘এ’তে পরপর দু’টি ম্যাচে যথাক্রমে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরির স্বাদ নেন মাহমুদুল্লাহ। প্রথমটি অ্যাডিলেডে, পরেরটি হ্যামিল্টনে। তবে মাহমুদুল্লাহ’র জন্য আগামী আসরটি হবে তৃতীয়। অর্থাৎ বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিশ্বকাপ খেলার পথে রফিক-আশরাফুলের পাশে বসবেন মাহমুদুল্লাহ।
বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপ খেলার বিশ্বরেকর্ডটি দখলে রেখেছেন পাকিস্তানের জাভেদ মিয়াঁদাদ ও ভারতের শচীন টেন্ডুলকার। মিয়াদাদ- ১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৮৩, ১৯৮৭, ১৯৯২ ও ১৯৯৬ সালে এবং টেন্ডুলকার- ১৯৯২, ১৯৯৬, ১৯৯৯, ২০০৩, ২০০৭ ও ২০১১ সালের বিশ্বকাপ খেলেন।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫টি করে বিশ্বকাপ খেলার রেকর্ড রয়েছে ১৬জন খেলোয়াড়ের।
বাসস/এএসজি/এএমটি/১৭১৫/মোজা/স্বব