বাসস ক্রীড়া-৮ : কেনের অনুপস্থিতিতে টটেনহ্যামের আস্থা সংকে ঘিরে

218

বাসস ক্রীড়া-৮
ফুটবল-চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
কেনের অনুপস্থিতিতে টটেনহ্যামের আস্থা সংকে ঘিরে
লন্ডন, ১৬ এপ্রিল ২০১৯ (বাসস) : আগামীকাল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অল-ইংল্যান্ড কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মুখোমুখি হবে আরেক ইংলিশ জায়ান্ট টটেনহ্যাম হটস্পার। অধিনায়ক ও দলের মূল তারকা হ্যারি কেনের অনুপস্থিতিতে ইতোমধ্যেই দলের দায়িত্ব নিয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছেন বলে দাবী করেছেন স্পারসদের দক্ষিণ কোরীয় তারকা সং হেয়াং-মিন।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে অংশ নেবার আগে মরিসিও পোচেত্তিনোর দল অবশ্য নিজেদের মাঠে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকার আত্মবিশ্বাসটা ধরে রাখবে। তবে কেন ও ডেলে আলির ইনজুরি কিছুটা হলেও দলের ওপর প্রভাব ফেলবে বলেই সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন। সিটির বিপক্ষে প্রথম লেগে আরো একবার গোঁড়ালির লিগামেন্ট ইনজুরির কারণে কেনের জন্য হয়তোবা মৌসুম শেষ হবার ঝুঁকি রয়েছে। এদিকে একই ম্যাচে হাতের হাড়ে চিড় ধরায় ইংলিশ মিডফিল্ডার আলির ফিটনেস নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে দলের দু’জন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে হারিয়ে টটেনহ্যাম নিজেদের কতটা মেলে ধরতে পারে সেটাই এখন মূল চ্যালেঞ্জ।
তবে এবারের মৌসুমে এর আগেও বেশ কয়েকবার দক্ষিণ কোরিয়ান ফরোয়ার্ড সং প্রমাণ করেছেন কেনের অনুপস্থিতি দলের ওপর তেমন একটা প্রভাব ফেলেনা। বিশেষ করে ইউরোপীয়ান আসরে এতদুর আসার পর নিজেকে প্রমাণে শতভাগ প্রস্তুত সং। কেনের অনুপস্থিতিতে এবার ১০ ম্যাচে সং ৯ গোল করেছেন। এ সম্পর্কে সং বলেন, ‘আমি শুধুমাত্র ফুটবলটাকে উপভোগ করতে চাই। সকলেরই সেটা করা উচিত। একজন ফরোয়ার্ড হিসেবে গোল দেয়া ও তার মাধ্যমে দলকে সহযোগিতা করাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। এই পরিস্থিতিতে আমাদের নিজেদের ওপর চাপ নিলে চলবে না। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টাল ফাইনালে খেলার থেকে এই মুহূর্তে ভাল কিছু হতে পারে না।’
প্রথম লেগে সার্জিও আগুয়েরোর পেনাল্টি বাঁচিয়ে দিয়ে হুগো লোরিস স্পারসদের রক্ষা করেছিলেন। ৭৮ মিনিটে সংয়ের গোলেই টটেনহ্যামের জয় নিশ্চিত হয়। কেনকে ছাড়া টটেনহ্যাম কার্যত তাদের শেষ পাঁচটি ম্যাচে জয়ী হয়েছে। আর এই সুযোগে সং নিজেকে একের পর এক প্রমান করে চলেছেন। মাসের শুরুতে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে লিগে নিজেদের নতুন স্টেডিয়ামে প্রথম গোলটিও করেছিলেন ২৬ বছর বয়সী এই এশিয়ান ফরোয়ার্ড। ৬ দিন পর আবারো সিটির বিপক্ষে নব নির্মিত স্টেডিয়ামে উপস্থিত ৬২ হাজার স্বাগতিক দর্শককে উল্লাসে ভাসিয়েছেন সং।
গতি, দক্ষতা ও ভিন্ন আঙ্গিকের বিচক্ষণতা দিয়ে সং কেনের তুলনায় প্রতিপক্ষের সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। অনেকেই এখন ইংলিশ অধিনায়কের তুলনায় সংকে সেরা ভাবতেও শুরু করেছেন। সেটা এখনো কিছুটা দূরে থাকলেও দলে সংয়ের উপস্থিতির গুরুত্ব যে অনেকাংশেই বেড়েছে তা সহজেই অনুমেয়। যে কারণেও প্রিমিয়ার লিগের শেষ ম্যাচে হাডার্সফিল্ডের বিপক্ষে ৮৭ মিনিট পর্যন্ত সংকে বিশ্রামে রেখেছিলেন পোচেত্তিনো। অল্প সময়ে খেলতে নেমেও ৪-০ গোলের জয়ের ম্যাচটিতে লুকাস মৌরাকে দিয়ে দলের তৃতীয় গোলটি করিয়েছেন সং। এবারের মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় সং ১৮টি গোল করেছেন। তবে কখনো কখনো কঠিন সময়ও এসেছে। সে কথা স্মরণ করে সং বলেন, ‘অবশ্যই কঠিন সময় পার করে আমি এই অবস্থানে এসেছি। সেই সময়গুলোতে কোচিং স্টাফ, সতীর্থ, ক্লাব কর্তৃপক্ষ সকলেই আমাকে সহযোগিতা করেছে। সেজন্য আমি তাদের সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। প্রতিদিনই নিজেকে উন্নত করার চেষ্টা করছি।’
বাসস/নীহা/১৬৪০/মোজা/স্বব