বাজিস-১৩ : অগ্নিকান্ড থেকে প্রাণরক্ষাকারী স্পাইডারম্যান খ্যাত জসিমউদ্দিনকে শেরপুরে সম্বর্ধনা

342

বাজিস-১৩
জসিমউদ্দিন-শেরপুর-সম্বর্ধনা
অগ্নিকান্ড থেকে প্রাণরক্ষাকারী স্পাইডারম্যান খ্যাত জসিমউদ্দিনকে শেরপুরে সম্বর্ধনা
শেরপুর ১৫ এপ্রিল ২০১৯ (বাসস) : জেলার শেরপুরের সন্তান জসিমউদ্দিন নিজের জীবনকে বাজী রেখে শুধু পানির পাইপ বেয়ে ৭ তলায় উঠে একজন বিদেশী ও নারীসহ ৫ জন জীবন্ত মানুষকে উদ্ধার করেছেন।এ জন্য তিনি ইতোমধ্যেই স্পাইডারম্যান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তাকে গতকাল সোমবার (১৫ এপ্রিল) জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্বর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
দুপুর ১টায় জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষ রজনীগন্ধায় জেলা প্রশাসক আনারকলি মাহবুব এর সসভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সম্বর্ধনা সভায় জসিমউদ্দিন অগ্নিকা-ে আটকেপড়া মানুষকে জীবন্ত উদ্ধার করে আনার রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। তিনি এফআর টাওয়ারে অগ্নিকা-ের সূত্রপাত্র দেখতে পেয়ে ছুটে যান। কিন্তু ওই ভবনে ঢোকার কোন রাস্তা না পেয়ে স্পাইডারম্যানের মতো পাইপ বেয়ে বিল্ডিং-এর ৭ তলায় উঠে যান। সেখানে গ্রিল বেয়ে প্রথমে একজন মহিলাকে উদ্ধার করেন। পরে শ্রীলংকার অধিবাসী এক ভদ্রলোকসহ আরো তিন জনকে উদ্ধার করেন। সেসময় তিনি বৈদ্যুতিক তার বেয়ে নামা অনেক মানুষেকে নামতে নিষেধ করেন কিন্তু তার কথা না শুনে দুজন লোক তার চোখের সামনে নিচে পড়ে মারা যান।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তার এ মানবিক কাজের জন্য তিনি বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্তৃক প্রশংসিত হয়েছেন। জেলা প্রশাসক আনারকলি মাহবুব তার বক্তব্যে এ সাহসী অকুতোভয় যুবককে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়ে তার হাতে ফুলের তোড়া নগদ অর্থ ও অন্যান্য উপহার সামগ্রী তুলে দেন।
জসিমউদ্দিন জানান, তার বাড়ী শেরপুর সদর উপজেলার বলাইর চর ইউনিয়নের দুসরা ছনকান্দা। তার পিতা ওমর আলী ১৯৯৮ সালে মারা যান। তারা তিন ভাই এক বোন। অভাবেব তাড়নায় তারা ঢাকা চলে যান । ঢাকার কুড়িল বস্তিতে বর্তমানে বসবাস করছেন। বর্তমানে তিনি বিখ্যাত আইনজীবী বাসেত মজুমদারের বাসায় কর্মরত। একই সাথে তিনি এরশাদ নগরের হাওয়ামাঠের তত্ত্বাবধায়ক এবং ক্রীড়া সংগঠক। তার অন্য দুইভাই মোবাইলের দোকানে কাজ করে। তিনি মানুষের জন্য জীবন দিয়ে হলেও কাজ করতে চান। এজন্য তিনি সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।
বাসস/সংবাদদাতা/২০১৫/মরপা