বাজিস-১ : পিরোজপুরের ৭ উপজেলায় ৮টি মুক্তিযোদ্ধা ভবন কমপ্লেক্স নির্মিত হচ্ছে

305

বাজিস-১
পিরোজপুর-মুক্তিযোদ্ধা ভবন কমপ্লেক্স
পিরোজপুরের ৭ উপজেলায় ৮টি মুক্তিযোদ্ধা ভবন কমপ্লেক্স নির্মিত হচ্ছে
পিরোজপুর, ১৫ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : জেলার ৭ উপজেলায় ৭টি মুক্তিযোদ্ধা ভবন কমপ্লেক্স এবং জেলা সদরে ৫টির মধ্যে ১টির নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। নির্মাণকাজ শেষ করে মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, কাউখালী, নেছারাবাদ ও ইন্দুরকানীর কমপ্লেক্স ভবন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কাছে ইতোমধ্যেই হস্তান্তর করা হয়েছে। পিরোজপুর জেলা শহরে ২টি ও নাজিরপুরের ভবন কমপ্লেক্স নির্মাণ চলতি অর্থ বছরেই সমাপ্ত হবে। জানা গেছে, বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে এবং মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের কল্যাণের কথা চিন্তা করে দেশের প্রতিটি উপজেলায় এবং প্রতিটি জেলা সদরে একটি করে মুক্তিযোদ্ধা ভবন কমপ্লেক্স নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় এবং বাস্তবায়ন শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় পিরোজপুর জেলার পিরোজপুর সদর, মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, নাজিরপুর, ইন্দুরকানী, স্বরূপকাঠী এবং কাউখালীতে কমপ্লেক্স ভবন নির্মানের কাজ শুরু করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এর পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়। ২ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ের প্রতিটি ৩ তলা ভবনের নিচ তলায় মার্কেট, ২য় তলায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয় এবং ৩য় তলায় ব্যাংক, বীমা বা কমিউনিটি সেন্টারসহ যেকোন ধরনের আয়বর্ধক প্রতিষ্ঠানের নিকট ভাড়া দেওয়া হবে এবং প্রাপ্ত অর্থ মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে। পিরোজপুরের এলজিইডি এর নির্বাহী প্রকৌশলী সুশান্ত রঞ্জন রায় জানান, এসব ভবন নির্মাণের কোন ধরনের অনিয়মকে প্রশয় দেওয়া হচ্ছে না। এদিকে পিরোজপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে শহীদ ওমর ফারুক সড়কে গণপূর্ত বিভাগ নির্মাণ করছে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ভবন কমপ্লেক্স। প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এ ভবনটির তৃতীয় তলায় ছাদ ঢালাই ও ইটের গাথুনির কাজ শেষ হয়েছে। আগামী মাসে এ ভবনটি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কাছে হস্তান্তর করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন গণপূর্ত বিভাগের পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বনাথ বনিক। মুক্তিযোদ্ধা এমএ মান্নান বলেছেন, এ ভবনগুলো থেকে যে আয় হবে সেটি মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে ব্যয় হবে। মুক্তিযোদ্ধা ভবন কমপ্লেক্স নির্মাণ করায় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
বাসস/সংবাদদাতা/১১১০/গিউ/-নূসী