বাসস ক্রীড়া-৯ : লোকজ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু হচ্ছে কাল

173

বাসস ক্রীড়া-৯
ক্রীড়া-উৎসব
লোকজ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু হচ্ছে কাল
ঢাকা, ১১ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদ এবং বাংলাদেশ কান্ট্রি গেমস এসোসিয়েশনের সহযোগিতায় আগামীকাল থেকে ঢাকার পল্টন ময়দানে শুরু হচ্ছে তিন দিনের এক আকর্ষণীয় ও মনোজ্ঞ লোকজ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক উৎসব। এছাড়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীর প্রারম্ভে তাদের এ আয়োজন বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।
কাল বিকেলে লোকজ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) মহাসাচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা। বিশেষ অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ কান্ট্রি গেমস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাইখ সিরাজ এবং বিওএ উপ-মহাসচিব আসাদুজ্জামান কোহিনূর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব কবেন বাংলাদেশজেলা ও বিভাগীয় সংহঠক পরিষদের সভাপতি ও চট্টগ্রামের মেয়র আজম নাসিরউদ্দিন। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে ১ বৈশাখ সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি এবং জেলা ও বিভাগীয় সংগঠক পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা নাজমুল হাসান পাপন এমপি। বিশেষ অতিথি থাকবেন জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল সংগঠক পরিষদের মহাসচিব তরফদার রুহুল আমিন।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সভাকক্ষে আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে উৎসবের প্রেক্ষাপট এবং কর্মকান্ডের বিস্তারিত উপস্থাপন করেন জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু। পরিষদেন সিনিয়র সহ-সভাপতি সিরাজউদ্দিন আলমগীরের সভাপতিত্বে সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন শাইখ সিরাজ, আসাদুজ্জামান কোহিনূর প্রমুখ।
আয়োজনের প্রথম দিনই থাকছে চট্টগ্রামের বলি খেলা। টাঙ্গাইল, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী, জামালপুর ও নেত্রকোনার লাঠিয়ালরা খেলবে লাঠি খেলা। সকালে হবে নড়াইল এবং বরিশালের জারি গান। পাশাপাশি থাকছে ময়মনসিংহের গীতিনাট্য রাধারামন ও সিলেটের আবদুল করিমের গান। পরদিন ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, যশোর, মুন্সীগঞ্জ ও দিনাজপুরের খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণে হাডুডু। ফরিদপুর, খুলনা, সিলেট ও যশোরের কুস্তি সঙ্গে ঢাকার বৌচি, সাভারের দাঁড়িয়াবান্ধা ও খুলনার পাটগান উপভোগ করবেন দর্শকরা। পুঁথি পাঠেরও আসর বসবে এই দিনে।
উৎসবের শেষ দিনে নড়াইল, খুলনা, যশোর, গোপালগঞ্জ, চট্টগ্রাম, বাগেরহাট থেকে নিয়ে আসা ষাঁড়দের লড়াই দেখার সঙ্গে বাড়তি আকর্ষণ কুষ্টিয়ার লালনগীতি, রাজশাহীর গম্ভীরা ও চট্টগ্রামের মাইজভান্ডারীর গান।
উৎসবের সমাপনী দিনে তৃনমূলের সাতজন ক্রীড়া সংগঠককে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হবে। প্রতবছনই এ আয়োজন থাকবে এবং এর ব্যপ্তি বাড়বে বলে জানান আয়োজকরা।
বাসস/স্বব/১৮৪৫/-এমএইচসি