বাসস ক্রীড়া-৯ : নাবিলের হাত ধরে জয় দিয়ে লিগ পর্ব শেষ করলো রূপগঞ্জ

145

বাসস ক্রীড়া-৯
ক্রিকেট-প্রিমিয়ার লিগ
নাবিলের হাত ধরে জয় দিয়ে লিগ পর্ব শেষ করলো রূপগঞ্জ
ঢাকা, ১০ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : বাঁ-হাতি অভিজ্ঞ স্পিনার নাবিল সামাদের বোলিং নৈপুন্যে জয় দিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের লিগ পর্বের খেলা শেষ করলো লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। আজ এগারতম ও শেষ রাউন্ডের ম্যাচে রূপগঞ্জ ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে উত্তরা স্পোটিং ক্লাবকে। ম্যাচে ১০ ওভারে ২৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সেরা খেলোয়াড় হন নাবিল। চলমান লিগে ১০ ম্যাচে সর্বমোট ১৫ উইকেট শিকার করেছেন নাবিল।
এই জয়ে ১০ জয় ও ১ হারে ২০ পয়েন্ট নিয়ে এককভাবে টেবিলের শীর্ষে থেকে লিগ পর্ব শেষ করলো রূপগঞ্জ। তাই লিগ পর্বের সেরা দল হয়েই সুপার সিক্সে খেলবে তারা। অন্যদিকে, ১১ ম্যাচে ২ জয় ও ৯ হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শেষ দল হয়ে রেলিগেশনের ফাঁদে পড়লো উত্তরা।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং-এ নামে রূপগঞ্জ। দলীয় ৯ রানেই প্রথম উইকেট হারায় উত্তরা। এরপর বড় জুটির পথে হাটতে থাকেন আরেক ওপেনার আনিসুল ইসলাম ইমন ও শাহনাজ আহমেদ। দলের স্কোর শতরানের কাছাকাছি নিয়ে যান তারা। তবে দলীয় ৯০ রানে এই জুটিতে ভাঙ্গন ধরান নাবিল। ইমনকে ৫৫ রানে শিকার করেন তিনি। ২ বল পর শাহনাজকেও বিদায় দিয়েছেন নাবিল। ২৭ রান করেন শাহনাজ।
এরপর চার নম্বরে নামা মোহিমেনুল খানকে ৩ রানের বেশি করতে দেননি নাবিল। এ স্পিনারের ঘুর্ণিতে ৪ উইকেটে ৯৪ রানে পরিণত হয় উত্তরা। ৪ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া উত্তরাকে পরবর্তীতে খেলায় ফেরানোর চেষ্টা করেন মিনহাজুল আবেদিন (১) ও অধিনায়ক সাকির হোসেন। কিন্তু দু’জনে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৮০ রানের মামুলি সংগ্রহ পায় উত্তরা। মিনহাজুল ৩৭ ও শাকির ৩৩ রান করেন। নাবিলের পর রূপগঞ্জের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন দলটির ভারতীয় খেলোয়াড় ঋষি ধাওয়ান।
জয়ের জন্য ১৮১ রানের টার্গেটে শুরুতেই দুর্দান্ত সূচনা করে রূপগঞ্জ। দুই ওপেনার মেহেদি মারুফ ও মোহাম্মদ নাইম ৯৬ রান যোগ করেন। দু’জনই হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন। নাইম ৬৩ রানে থামলেও মোমিনুল হককে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন মারুফ। ২টি করে চার-ছক্কায় ১১৫ বলে অপরাজিত ৬২ রান করেন মারুফ। ৫টি চারে ৫৩ বলে অপরাজিত ৪৭ রান করেন মোমিনুল। নাইমের ইনিংসে ৯টি চার ও ১টি ছক্কা ছিলো।
বাসস/এএসজি/এএমটি/১৯৩৫/স্বব