বাসস দেশ-২৩ : বিরোধ নিষ্পত্তিতে গ্রাম আদালতের ভূমিকা প্রশংসনীয় : তাজুল ইনলাম

123

বাসস দেশ-২৩
এলজিআরডি মন্ত্রী-গ্রাম আদালত
বিরোধ নিষ্পত্তিতে গ্রাম আদালতের ভূমিকা প্রশংসনীয় : তাজুল ইসলাম
ঢাকা, ১০ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম স্থানীয় ছোটখাট বিরোধ নিষ্পত্তিতে ‘গ্রাম আদালতের’ ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।
তিনি বলেন,‘স্থানীয়ভাবে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় কম খরচে, সহজে এবং স্বল্প-সময়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গ্রাম আদালতের ভূমিকা প্রশংসনীয়।’
দেশের প্রচলিত বিচার ব্যবস্থা জনসংখ্যার তুলনায় অপর্যাপ্ত- এ কথা উল্লেখ করে এলডিআরডি মন্ত্রী বলেন,এ শূন্যতা পূরণে গ্রামে ছোটখাট বিরোধগুলো মিটিয়ে ফেলতে গ্রাম আদালত কার্যকরী ভূমিকা রাখছে।
মন্ত্রী আজ বুধবার সকালে রাজধানীর ইস্কাটনের বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যত করণীয় বিষয়ক কর্মশালা’য় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
এ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন,স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুক,বাংলাদেশে ইউএনডিপি’র ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশন টু বাংলাদেশ’র টিম লিডার অড্রে মেলট।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্পটির জাতীয় প্রকল্প পরিচালক ড. কাজী আনোয়ারুল হক। অন্যান্যের মধ্যে এ প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প সমন্বয়ক সরদার এম আসাদুজ্জামান বক্তৃতা করেন।
কর্মশালায় ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধি, ইউএনডিপির প্রতিনিধি, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, প্রকল্পভুক্ত জেলার সংশ্লিষ্ট উপপরিচালক’গণ, সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা সমন্বয়কারী, প্রকল্প অফিসের কর্মকর্তা, সহযোগি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিগণসহ প্রায় ১৫০ জন উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, গ্রামের মানুষকে বঞ্চিত করে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। সেজন্য গত নির্বাচনে বর্তমান সরকার তাদের ইশতেহারে শহরের বিভিন্ন নাগরিক সুযোগ-সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
তিনি বলেন,ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১১২ টি সেবা প্রদানের কথা থাকলেও সকল ইউনিয়ন পরিষদ যথাযথভাবে তা প্রদান করতে সক্ষম নয়। এজন্য ইউনিয়ন পরিষদকেও শক্তিশালী করা হচ্ছে। প্রতিটি ইউনিয়নে অন্তত বিশ হাজার মানুষ বাস করে। তাদেরকে যথাযথ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় করতে পারলে স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থনৈতিক সক্ষমতা এবং তাদের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতাও বাড়বে। এরফলে স্থানীয় সরকার শক্তিশালী হবে।
উল্লেখ্য, প্রকল্প এলাকাভুক্ত ২৭টি জেলার ১২৮টি উপজেলার ১,০৮০টি ইউনিয়নে প্রকল্পের কার্যক্রমে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ সংশ্লিষ্ট উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকারগণের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে গ্রাম আদালত কার্যকরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
বাসস/সবি/জেডআরএম/১৭৫৫/এমএসআই