বাসস দেশ-৭ : কর্ণফুলী নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নির্দেশ হাইকোর্টের

172

বাসস দেশ-৭
হাইকোর্ট-আদেশ
কর্ণফুলী নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নির্দেশ হাইকোর্টের
ঢাকা, ৯ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধভাবে গড়ে উঠা স্থাপনা অবিলম্বে উচ্ছেদে বন্দর চেয়ারম্যানের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এক আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো.আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেয়। উচ্ছেদ করে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে।
আদেশের পর আবেদনকারীর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে এইচআরপিব’র (হিউম্যান রাইটস এন্ড পীস ফর বাংলাদেশ) পক্ষে আমরা আজকে একটা আবেদন করেছিলাম। শুনানিতে আমরা প্রার্থনা করেছিলাম যে, আগে যে আদেশ দেয়া হয়েছিল সেখানে ডেপুটি কমিশনারসহ আরও ৫ জনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য। এখন যে জায়গাগুলোতে অবৈধ স্থাপনা আছে সে জায়গাগুলো মূলত বন্দরের অধীনে। এই জন্য আমরা একটি নির্দেশ প্রার্থনা করেছিলাম, বন্দরের চেয়ারমনকে যেন একটা নির্দেশ দেয়ার জন্য। সে যেন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে।
তিনি বলেন, শুনানি শেষে বন্দরের চেয়ারম্যান ও বন্দর কর্তৃপক্ষকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে কর্ণফুলী নদীর পাড়ে যেসব অবৈধ স্থাপনা আছে সেগুলো সার্ভে রিপোর্ট ও আরএস অনুসারে উচ্ছেদ করে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন। আদালত এ বিষয়ে ১৯ মে পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছেন বলে জানান আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ দখল সংক্রান্ত ২০১০ সালে মিডিয়ায় প্রকাশিত রিপোর্ট নিয়ে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস এন্ড পীস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট করা হয়। রিটের পর আদালত রুল জারি করেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মো.রেজাউল হাসান ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের আদালত রুল যথাযথ ঘোষণা করে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সম্প্রতি ওই রায় অনুসারে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছিলো। কয়দিন চলার পর তাও বন্ধ হয়ে যায়।
বাসস/এএসজি/ডিএ/১৬১০/-আসচৌ