বাজিস-১২ : নীলফামারীতে আউশ ধান আবাদে কৃষি প্রণোদনা পাবেন ৩ হাজার ৫০০ কৃষক

161

বাজিস-১২
নীলফামারী-কৃষি- প্রণোদনা
নীলফামারীতে আউশ ধান আবাদে কৃষি প্রণোদনা পাবেন ৩ হাজার ৫০০ কৃষক
নীলফামারী, ৮ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : জেলায় আউশ ধানের আবাদ বাড়াতে কৃষি প্রণোদনা পাবেন ৩ হাজার ৫০০ কৃষক।
সোমবার দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ মাঠে ৭৫০ জন কৃষকের মাঝে ওই জাতের ধানের উচ্চ ফলনশীল বীজ ও সার বিতরণ করে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘ধান চাষে যে সম্ভাবনা তৈরী হচ্ছে সেগুলো আমাদেরকে কাজে লাগাতে হবে। পাশাপাশি ধান পাট ও ভুট্টা চাষের ওপর নির্ভর করলে আমাদের চলবে না, দেশীয় ফলের চাষ বাড়াতে হবে। স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তামাক চাষ সম্পূর্ণ রূপে পরিহার করতে হবে।’ এসময় অর্গানিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত ফসলের গুণাগুণ তুলে ধরে কৃষকদের অর্গানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রপ্ত) মো. সুজাউদৌলার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আকরাম হোসেন চৌধুরী, জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, জেলা কৃষি বিভাগের উপপরিচালক মো. আবুল কাশেম আযাদ, পৌর মেয়র জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুজার রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রশীদ, কৃষক অনিল চন্দ্র রায় প্রমুখ।
জেলা কৃষি বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মহসীন রেজা জানান, খরিপ-১ (১৯-২০) মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় জেলায় ৩ হাজার ৫০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে এক বিঘা করে জমিতে আবাদের জন্য পাঁচ কেজি করে উচ্চ ফলনশীন জাতের আউশ ধানে বীজ, ডিএমপি সার ১৫ কেজি, এমওপি সার ১০ কেজি করে বিতরণ করা হবে।
এর মধ্যে জেলা সদরে ৭৫০, সৈয়দপুরে ২৫০, ডোমারে ৫৫০, ডিমলায় ৬০০, জলঢাকায় ৭০০, কিশোরগঞ্জে ৬৫০ জন কৃষক ওই প্রণোদনা পাবেন। জেলা সদরে বিতরণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
বাসস/সংবাদদাতা/১৬০০/মরপা