বাসস দেশ-১১ : স্কুল ফিডিং কার্যক্রমে গতবারের চেয়ে এবার ২৮১ কোটি ২০ লাখ টাকা বেশি বরাদ্দ

225

বাসস দেশ-১১
শিশু-বাজেট
স্কুল ফিডিং কার্যক্রমে গতবারের চেয়ে এবার ২৮১ কোটি ২০ লাখ টাকা বেশি বরাদ্দ
ঢাকা, ৮ জুন, ২০১৮ (বাসস) : ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বাজেটে স্কুল ফিডিং কার্যক্রমের জন্য ৬৭১ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
‘দারিদ্রপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কার্যক্রম’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে এই কার্যক্রমে বরাদ্দ ছিল ৩৯০ কোটি টাকা। চলতি অর্থ বছরের চেয়ে প্রস্তাবিত বাজেটে ২৮১ কোটি ২০ লাখ টাকা বেশী বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বাজেটে অর্থ বিভাগ প্রকাশিত ‘বিকশিত শিশু : সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকাশনায় এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রকাশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, শিশু বাজেট বাস্তবায়নের প্রেক্ষিতে গত তিন বছরের বিভিন্ন সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এর মধ্যে বিগত বছরগুলোতে প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমতা বিধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিতও হয়েছে।
‘দারিদ্রপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কার্যক্রম’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় স্কুল ফিডিং কার্যক্রমের কারণে শিক্ষার্থী ভর্তির হার বৃদ্ধি এবং তাদেরকে বিদ্যালয়ে ধরে রাখার হার বৃদ্ধি পেয়েছে।
ঘোষিত বাজেটে উল্লেখ করা হয়েছে, ইতোমধ্যে ১০৪টি উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৩৩ লাখ ৯০ হাজার শিক্ষার্থীকে স্কুল খোলার দিনে জনপ্রতি দৈনিক ৭৫ গ্রাম করে বিস্কুট বিতরণ করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতায় বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার ২টি ইউনিয়নের ১০৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৭ হাজার ৯’শ ৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে রান্না করা খাবার পরিবেশন করা হয়েছে।
‘বিকশিত শিশু : সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকাশনায় আর জানানো হয়েছে, সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা চালু করা হয়েছে। দারিদ্র্যতার কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয় গমনোপযোগী শিশুর শিক্ষা যাতে ব্যাহত না হয় সেজন্য সরকার সারাদেশে নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৬৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৫ সালের জুলাই থেকে উপবৃত্তি প্রদান করে আসছে।
বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়েছে, উপবৃত্তি প্রাপ্ত উপকারভোগীর সংখ্যা ৭৯ লাখ থেকে ১ কোটি ৩০ লাখে উন্নীত করা হয়েছে। দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন চালু করা হয়েছে। রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেন (রস্ক) প্রকল্পের আওতায় দেশের ১২৫টি উপজেলায় ১১ হাজার ১৬২টি আনন্দ স্কুলে ৩ লাখ ১০ হাজার ৯৮৭ জন বিদ্যালয় বহির্ভুত এবং ঝরে পড়া শিশুর শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে ৬৪ জেলা সদর ও ৮৬ উপজেলায় ২০৫টি বিদ্যালয় ও ৯টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দু:স্থ ও সুবিধাবঞ্চিত ২৮ হাজার ৫০০ শিশু শিক্ষার সুযোগ পেয়েছে। এজন্য সরকারের বছরে ব্যয় হচ্ছে ৩৬ কোটি টাকা।
বাসস/এমএন/১৭৩৫/কেজিএ