বাজিস-৪ : সৈয়দপুরে কুন্দল বিলের খনন কাজ চলছে পেশা ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন মৎস্যজীবীরা

170

বাজিস-৪
নীলফামারী-কুন্দল বিল খনন
সৈয়দপুরে কুন্দল বিলের খনন কাজ চলছে পেশা ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন মৎস্যজীবীরা
নীলফামারী, ৮ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : জেলার সৈয়দপুর উপজেলায় শুরু হয়েছে ১৩ একর আয়তনের কুন্দল বিল পুনঃখনন কাজ। বিলটির পুণঃখনন শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে ওই এলাকার প্রায় ৫০০ মৎসজীবী পরিবারের মাঝে। পেশা হারানো এসব পরিবার নূতন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন বাপ-দাদার পেশা ফিরে পাওয়ার।
২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় জেলা মৎস্য বিভাগ বাস্তবায় করছে ওই পুনঃখনন কর্মসূচি। প্রকল্পটির বাস্তবায়নের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৭ লাখ টাকা। পুনঃখনন ছাড়াও বিলটির স্থায়ীত্বের জন্য করা হচ্ছে পাড় মজবুতিকরণ। ভরাট হয়ে যাওয়া বিলটিও ফিরে পাচ্ছে নতুন প্রাণ।
কুন্দল মৎসজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘পূর্বে আমরা ওই বিলে মাছ শিকার করে শত শত পরিবার জীবীকা নির্বাহ করতাম। পৌর এলাকায় অবস্থিত বিলটি ভরাট হয়ে পরিত্যক্ত হওয়ায় মৎস্যজীবী এসব পরিবার হারিয়ে ফেলে পৈত্রিক পেশা। জীবন জীবীকার তাগিদে অন্য পেশায় গিয়ে ভালো করতে পারছেন না তারা। বিলটির খনন শুরু হওয়ায় আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন পরিবারগুলো।’
একই এলাকার অপর মৎস্যজীবী জিয়ারুল হক বলেন, ‘বিলটির খনন শেষ হলে এলাকায় মাছের উৎপাদন বাড়বে। পেশা ফিরে পাবো আমরা।’
তিনি বলেন, আগে ২০ কেজি থেকে ৫০ কেজি ওজনেরও মাছ শিকার করেছিলাম ওই বিলে। কিন্তু সেটি এখন ইতিহাস মাত্র।’
জেলা মৎস্যজীবী সমিতির সদস্য গেদন চন্দ্র দাস বলেন, সরকার মহৎ একটি উদ্যোগ। হারিয়ে যাওয়া বিলগুলোর প্রাণ ফিরিয়ে আনা। কুন্দল বিলটি অনেক বড়, এলাকার মানুষের উপকারে আসবে খননের ফলে।
মৎস্য বিভাগ সূত্র জানায়, ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে খনন করা হচ্ছে ১৩একরের এ বিলটি। ওই বিলের ন্যায় চলতি মৌসুমে জেলায় ছোট বড় ২১টি জলাশয় পুনঃখনন করা হচ্ছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান জানান, এসব বিল পুনঃখননের ফলে মাছের উৎপাদন বাড়বে, মানুষের আমিষের চাহিদা মিটবে। মৎস্যজীবী পরিবারগুলো তাদের পেশা ফিরে পাবেন।
তিনি বলেন, কুন্দর বিলের খনন কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। খননেন মাটি দিয়ে বিলের পাড় মজবুত করা হচ্ছে। সময়ের মধ্যে খনন কাজ শেষ হওয়ার আশা করছি।
বাসস/সংবাদদাতা/কেইউ/১২৩৫/নূসী