বাসস ক্রীড়া-২ : কিশোর বয়সেই ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের সোধি

298

বাসস ক্রীড়া-২
সোধি-বিশ্বকাপ
কিশোর বয়সেই ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের সোধি
ঢাকা, ৮ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় আসন্ন আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে ব্ল্যাক ক্যাপস দলের অংশ হতে পেরে ‘দারুন উৎফুল্ল’ নিউজিল্যান্ড স্পিনার ইশ সোধি বলেছেন এ মেগা ইভেন্টের আগে একজন সত্যিকারের ‘অল-রাউন্ড ক্রিকেটার’ হিসেবে পরিণত হতে চান তিনি।
বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত নিউজিল্যান্ডের ১৫ সদস্যের দলে একমাত্র বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসেবে আছেন ৩৯ ওয়ানডেতে ৩০ উইকেট শিকার করা সোধি।
ক্রিকেটনেক্সট ওয়েবসাইটকে তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপ দলের অংশ হেত পেরে আমি দারুণ এক্সাইটেড। প্রত্যেক খেলোয়াড়েরই স্বপ্ন থাকে বিশ্বকাপে নিজ দেশের প্রতিনিধত্ব করা। আমার বয়স যখন ১৫/১৬, আমি নিজকে বলতাম ‘তোমার লক্ষ্যের জন্য ২০১৯ হবে একটি ভাল বিশ্বকাপ’।
তিনি বলেন, ‘সৌভাগ্য, দলে জায়গা পেয়েছি। কেবলমাত্র অধিনায়ক নন, কোচিং স্টাফদের কাছ থেকে এমন সমর্থন পাওয়া অনেক বড় ব্যপার। তারা আমার ওপড় অগাধ আস্থা রেখেছে এবং আশা করছি আমি তাদের আস্থার প্রতিদান দিতে পারব।’
সোধি মুলত গতির চেয়ে টার্নের প্রতিই বেশি নির্ভর করেন। তবে এখন তিনি এমন পর্যায়ে আছেন যেখানে তিনি উভয়ের মধ্যে একটি আদর্শ স্থান খুঁজে বের করার চেস্টা করছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি সব সময়ই একজন প্রথাগত বোলার ছিলাম, যে কিনা যতটা সম্ভব বল টার্নিংয়ে বিশ্বাস করে। সেটা অর্জন করতে হলে সাধারণত আপনাকে কিছুটা মন্থর গতির বোলার হতে হবে। তবে এই মুহুর্তে আমি যেটা সবচেয়ে ভাল পারি তা হচ্ছে- প্রয়োজনের সময় সঠিকভাবে স্পিন ও পেস বোলিংয়ের মধ্যে ভারসাম্য আনতে।
২৬ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার বর্তমানে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (আইপিএল) রাজস্থান রয়্যালসের সদস্য। তবে টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত কোন ম্যাচ খেরতে পারেননি তিনি। তবে দলের স্পিন বোলিং কোচ সাইরাজ বাহুতুলের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি।
গত বছর রাজস্থানের হয়ে পাঁচ উইকেট শিকার করা সোধি বলেন, ‘গত বছর দেখা হওয়ার পর থেকেই বাহুতুলের সঙ্গে আমি সখ্য গড়ে তুলেছি। এছাড়া স্টুয়ার্ট ম্যাকগিলের সঙ্গেও কথা বলছি। যা আমার জন্য অত্যন্ত সহায়ক হয়েছে। তিনি কেবলমাত্র একজন লেগ স্পিন কোচই নন, একই সঙ্গে একজন মেন্টরও। কেননা তার মধ্যে লেগ স্পিনের অনেক কিছু আছে। গত ছয় মাস ম্যাকগিলের সঙ্গে কাজ করে আমার আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে গেছে। একজন বন্ধু ও মেন্টর হিসেবে তাকে পেয়ে আমি সত্যিই আনন্দিত।’
বাসস/স্বব/০৯৩০/এএমটি