বাসস দেশ-৩৮ : জ্বালানী ঘাটতি নিরসনে আইপিইউ সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান স্পিকারের

365

বাসস দেশ-৩৮
স্পিকার- আইপিইউ
জ্বালানী ঘাটতি নিরসনে আইপিইউ সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান স্পিকারের
ঢাকা, ৭ এপ্রিল ২০১৯ (বাসস) : স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এসডিজির মূল লক্ষ্য অর্জন এবং ‘কেউ পিছিয়ে থাকবে না’ প্রতিপাদ্যকে নিশ্চিত করতে জ্বালানী ঘাটতি নিরসনে আইপিইউ সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ রোববার ১৪০তম আইপিইউ এসেম্বলির মূল ভেন্যু শেরাটন কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত “নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার ও অন্তর্ভূক্তিমূলক জননীতি প্রণয়নের মাধ্যমে জ্বালানী ঘাটতি নিরসন : সংসদের করণীয়” শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় বক্তৃতাকালে তিনি এ আহবান জানান।
তিনি বলেন, জ্বালানী ঘাটতি নিরসনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার সময় এখনই। তিনি বলেন, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর চাহিদা মোতাবেক পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সুবিধা নিশ্চিতিকরণে সকলকে সতর্ক দৃষ্টি দিতে হবে। অনুন্নত দেশগুলোতে প্রয়োজনীয় জ্বালানী প্রাপ্যতার অভাবে হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর জ্বালানী খরচ বেড়ে যায়। এই অসমতা বিবেচনায় নিয়ে তা দূরীকরণের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর চাহিদা মেটাতে হবে। সংসদকে অবশ্যই সীমিত সম্পদের সঠিক ব্যবস্থাপনার জটিল বিষয়ে ভারসাম্য আনয়ন করতে হবে।
তিনি জ্বালানী ঘাটতি নিরসনে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে এগিয়ে আসার পরামর্শ দিয়ে বলেন, এক্ষেত্রে আর্থিক নীতি এবং অর্থায়নের শর্তাবলী শিথিল করা উচিৎ। ফলশ্রুতিতে, অর্থায়ন বৃদ্ধি পেলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সম্প্রসারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসবে এবং জ্বালানী ঘাটতিও নিরসন হবে। জনগণের জ্বালানী চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশে সৌরশক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এসময় আবদুস সোবহান মিয়া এমপি ও কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে আজ সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী শেরাটন কনভেনশন সেন্টারে নেপালের স্পিকার কৃষ্ণা বাহাদুর মাহারার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা দ্বিপাক্ষিক সর্ম্পক, সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ গঠন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং আন্তঃবাণিজ্যের প্রসার নিয়ে আলোচনা করেন।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই বাঙালি জাতিকে যে সংবিধান উপহার দিয়েছেন তা অনন্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে দেশের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছেন। দেশের জিডিপি ৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। বর্তমান সরকার সবার জন্য শিক্ষা এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সামাজিক নিরাপত্তার বলয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে ।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে। সারাদেশে সরকার ১শ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করেছে। তিনি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে নেপালের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের সুযোগ গ্রহনের আহবান জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাত, ঔষধ ও তৈরি পোষাক খাত বিনিয়োগ বাণিজ্য প্রসারে ভূমিকা রাখতে পারে।
নেপালের স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। নেপাল বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাকে অনুসরণ করতে চায়। এক্ষেত্রে সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের মাধ্যমে দু’দেশের সংসদ সদস্যগণ ধারণা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করে উপকৃত হতে পারবে। বাণিজ্য প্রসারে নেপালের ব্যবসায়ীগণ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবেন বলে তিনি স্পিকারকে আশ্বস্ত করেন।
এসময় আবদুস সোবহান মিয়া এমপি, আব্দুস সালাম মুর্শেদী এমপি, সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমদ খান এবং কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/সবি/এমআর/১৯৫০/কেএমকে