স্যানিটেশন ও হাইজিন সেবা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে : তাজুল ইসলাম

224

ঢাকা, ৬ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, সরকার সবার জন্য উপযুক্ত স্যানিটেশন ও হাইজিন সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে ।
আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, আইটিএন-বুয়েট ও বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস্ ফাউন্ডেশন আয়োজিত বাংলাদেশে শহরব্যাপী সমন্বিত স্যানিটেশন (সিডব্লিউআইএস) এর উপর জাতীয় পর্যায়ের পরামর্শ ও পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন।
সিডব্লিউআইএস ধারণাকে সকলের সাথে পরিচিত করা এবং এ ধারণার প্রয়োগ কিভাবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ২ ভাগ বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবদান রাখতে পারে সে লক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়।
এ সভায় সভাপতিত্ব করেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সাইফুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এস.এম. গোলাম ফারুক, গেস্ট অব ওনার হিসাবে ছিলেন বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস্ ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ড.রুশান রাজ শ্রেষ্ঠা।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী স্যানিটেশনের সকল ক্ষেত্রকে সমন্বিতভাবে মোকাবেলার জন্যে সিডব্লিউআইএস এর ধারণা এখন সর্বত্র প্রয়োগ হচ্ছে। সিডব্লিউআইএস সবার জন্য পর্যাপ্ত, উপযুক্ত স্যানিটেশন এবং হাইজিন সেবা নিশ্চিত করার পদক্ষেপগুলো নিয়ে কাজ করে। সঠিক প্রযুক্তি সহকারে ব্যাপক পরিকল্পনা এবং রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি উভয়ই এক্ষেত্রে একই রকম গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের সুদৃঢ় পদক্ষেপ ও প্রতিশ্রুতি, আর্থিক বরাদ্দ এবং অন্যান্য সহায়তা, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমুহের আর্থিক সহযোগিতাসহ দেশের জনগনের পাশে দাড়াচ্ছে।
তিনি বলেন,‘গেটস্ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সিডব্লিউআইএস এ আমাদের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্যে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রোগ্রাম এবং অন্যান্য সাপোর্ট প্রদান করছে। এতে বাংলাদেশে শহরভিত্তিক পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ উন্নয়নের সূচনা ঘটেছে।’
মন্ত্রী আরো বলেন, স্যানিটেশন ব্যবস্থা যেকোন দেশের সুস্বাস্থ্য ও পরিবেশ উন্নয়নের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। জাতিসংঘ সাধারন পরিষদ পানি ও স্যানিটেশন কে মানবাধিকার হিসেবে বিবেচনা করেছে এবং এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকারে স্যানিটেশনকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে, যা দেশের স্যানিটেশন আন্দোলনে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে।
মন্ত্রী জানান, স্বাস্থ্যসম্মত ও উন্নত স্যানিটেশনের কভারেজ বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের সকল পৌরসভায় ২০২৭ সালের মধ্যে নিরাপদ স্যনিটেশন ব্যবস্থার লক্ষ্য অর্জনে সরকার বেশ কিছু কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংক এবং বিশ্ব ব্যাংক এর অর্থায়ন ও সহযোগিতায় দেশের ১শ’ টিরও অধিক পৌরসভায় পয়ঃবর্জ্য ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। অবশিষ্ট শহরগুলোতে নানামুখী পদক্ষেপসহ উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়নের কাজ চলছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী ১ থেকে ২ বছরের মধ্যে সব পৌরসভা শহর প্রকল্পের আওতায় পর্যায়ক্রমে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ শুরু করতে পারবে।
মন্ত্রী আরো জানান, বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রাতিষ্ঠানিক এবং আইনি কাঠামো বাস্তবায়নের জন্য একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে কাজ করছে।
তিনি বলেন, সাধারণ জনগণ বুঝতে পেরেছে যে উন্মুক্ত জায়গায় মলত্যাগ এখন এখন সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। এ জন্যই দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশ সবচেয়ে অল্প সময়ে মধ্যে এসডিজি ৬ দশমিক ২ ভাগ অর্জন করেছে এবং যা এখন দৃশ্যমান।