বাসস বিদেশ-৫ : তুরস্কের স্থানীয় নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের হস্তক্ষেপের অভিযোগ এরদোগানের

136

বাসস বিদেশ-৫
তুরস্ক-ভোট
তুরস্কের স্থানীয় নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের হস্তক্ষেপের অভিযোগ এরদোগানের
আঙ্কারা, ৬ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : তুরস্কে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান তুরস্কের স্থানীয় নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিরুদ্ধে ‘হস্তক্ষেপের’ অভিযোগ তুলেছেন।
তুরস্কের ক্ষমতাসীন দল দেশটির স্থানীয় নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ায় পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো এ ব্যাপারে মন্তব্য করায় এরদোগান এই অভিযোগ তুললেন।
রোববারের স্থানীয় নির্বাচনে এরদোগান ও তার একেপি পার্টি রাজধানী আঙ্কারায় পরাজিত হয়েছে এবং তুরস্কের বৃহত্তম নগরী ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র ইস্তাম্বুলে সামান্য ব্যবধানে জয়লাভ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র তুরস্ককে এই ফলাফল মেনে নেয়ার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচিত কর্মকর্তাদের ‘স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়ার’ আহ্বান জানিয়েছে।
এরদোগান তাদের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের উচিত তাদের অবস্থান সম্পর্কে অবগত হওয়া।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
সোমবারের পর সাংবাদিকদের কাছে প্রথমবারের মতো মুখ খুলেন এরদোগান। তিনি বলেন, ‘আমেরিকা ও ইউরোপ তুরস্কের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘তুরস্ক গোটা বিশ্বকে গণতন্ত্রের শিক্ষা দিয়েছে।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র রবার্ট পালাডিনো মঙ্গলবার তুরস্কের নির্বাচন প্রসঙ্গে ব্রিফিংকালে বলেন, ‘যে কোন গণতন্ত্রের জন্যই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন এবং এর পাশাপাশি নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেয়াও জরুরি।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নারী মুখপাত্র মাজা কোসিজানসিস সোমবার বলেন, ব্রাসেলস আশা করছে যে তুরস্কে নির্বাচিত স্থানীয় প্রতিনিধিরা অবাধে এবং কাউন্সিল অব ইউরোপ (মানবাধিকার সংগঠন) এর নীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তুরস্ক কাউন্সিল অব ইউরোপের নীতিকে অনুসরণ করে।’
সোমবার নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা কাউন্সিল অব ইউরোপের তুরস্ক শাখার প্রতিনিধিদের প্রধান অ্যান্ড্রু ড’সন বলেন, ইউরোপের মূল্যবোধ, নীতি ও আদর্শের সঙ্গে সঙ্গতি রাখতে যে ধরনের একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রয়োজন তুরস্কে বর্তমানে সেই ধরনের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ আছে বলে’ তার পর্যবেক্ষক দল মনে করে না।
ইস্তাম্বুলে ভোট গ্রহণ শেষ হবার পরপরই প্রধান দুই প্রার্থী নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করেন।
ইলেশন কর্তৃপক্ষ বিরোধী দলীয় প্রার্থী একরেম ইমামোগলুকে সামান্য ব্যবধানে বিজয়ী ঘোষণা করার পর ক্ষমতাসীন একেপি এই ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে এর বিরুদ্ধে আবেদন করে।
তুরস্কের রাষ্ট্রপ্রধান এরদোগানের দল নির্বাচনের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করায় আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলো সমালোচনা করে। এতে তিনি ওই দেশগুলোর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের দেশেও তো আপনারা নির্বাচনের ফলাফলের বিরুদ্ধে আবেদন করেছেন।’
এরদোগান শুক্রবার বলেন, তার দল ইস্তাম্বুলের ৩৯টি এলাকার মধ্যে ২৪টিতে জয়লাভ করেছে।
তিনি এও বলেছেন, ‘সুপ্রিম ইলেকশন বোর্ড চূড়ান্ড সিদ্ধান্ত নেবেন।’
বাসস/কেএআর/১৪৪৮/এমএবি