বাসস দেশ-২১ : বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে বহু মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছিলেন জিয়াউর রহমান : বিমান প্রতিমন্ত্রী

150

বাসস দেশ-২১
বিমান প্রতিমন্ত্রী-তেলিয়াপাড়া দিবস
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে বহু মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছিলেন জিয়াউর রহমান : বিমান প্রতিমন্ত্রী
হবিগঞ্জ, ৪ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলী বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে বহু মুক্তিযোদ্ধাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিলেন।
তিনি বলেন, তিনি (জিয়া) ও তার সহধর্মিনী বেগম খালেদা জিয়া রাজাকার ও আল-বদরদের মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়ীতে জাতীয় পতাকা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করেছিলেন।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছিল।
এডভোকেট মাহবুব আলী আজ ৪ এপ্রিল ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া দিবস উপলক্ষে জেলার তেলিয়াপাড়া চা বাগান স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা জনতার মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ফজলুল জাহিদ পাভেলের সভাপতিত্বে মহাসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক সেনাপ্রধান এবং ৩নং সেক্টর কমান্ডার কেএম শফিউল্লাহ, মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মুর্শেদ খান,
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার এড. মোহাম্মদ আলী পাঠানের পরিচালনায় মুক্তিযোদ্ধা জনতার সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, শাহনেওয়াজ মিলাদ গাজী এমপি, নরসিংদী জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারজানা কাউনাইন, ঢাকা মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সভাপতি আমির হোসেন, নরসিংদীর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আ. মোতালেব ও হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যাহ।
১৯৭১ সালের এই দিনে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ম্যানেজার বাংলোয় স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের উর্ধ্বতন ২৭ সেনা কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এ বৈঠকেই দেশকে স্বাধীন করার শপথ এবং যুদ্ধের রণকৌশল গ্রহণ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গণকে ভাগ করা হয় ১১টি সেক্টর ও ৩টি ব্রিগেডে।
অস্ত্রের যোগান, আন্তর্জাতিক সমর্থনসহ গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এই সভায়।
জেনারেল এম জি ওসমানীর নেতৃত্বে নেয়া হয় মুক্তিযুদ্ধের সর্বাত্মক প্রস্তুতি। শপথ বাক্য পাঠ করানোর পর নিজের পিস্তল থেকে ফাঁকা গুলি ছুড়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার শপথের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন এম এ জি ওসমানী।
বাসস/সংবাদদাতা/এমএএস/১৭২০/এএএ