বাসস ক্রীড়া-৯ : সৌম্য-জহিরুল-সাইফউদ্দিনের নৈপুন্যে টানা চতুর্থ জয় আবাহনীর

158

বাসস ক্রীড়া-৯
ক্রিকেট-প্রিমিয়ার লিগ
সৌম্য-জহিরুল-সাইফউদ্দিনের নৈপুন্যে টানা চতুর্থ জয় আবাহনীর
ঢাকা, ৪ এপ্রিল ২০১৯ (বাসস) : প্রথমে বল হাতে সৌম্য সরকারের ৪ উইকেট ও পরে ব্যাট হাতে জহিরুল ইসলামের অপরাজিত ৯১ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ৫৫ রানের ইনিংসের কল্যাণে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে টানা চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে গেল ম্যাচে সুপার লিগ নিশ্চিত করা আবাহনী লিমিটেড। আজ নবম রাউন্ডের ম্যাচে আবাহনী ৪ উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবকে। এই জয়ে ৯ খেলায় ৮ জয় ও ১ হারে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থেকে টেবিলের শীর্ষে থাকলো আবাহনী। একই পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জ। আবাহনীর কাছে হেরে ৯ ম্যাচে ৬ জয়ে ৩ হারে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে প্রাইম দোলেশ্বর।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেয় আবাহনী। প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারেনি প্রাইম দোলেশ্বর। ২৭ রানে ২ উইকেট হারায় তারা। এরমধ্যে ১টি করে উইকেট নেন আবাহনীর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
দুই ওপেনার ব্যর্থ হলেও, মিডল-অর্ডারের পাঁচ ব্যাটসম্যানের ছোট ছোট ইনিংসে লড়াকু সংগ্রহের পথ পায় প্রাইম দোলেশ্বর। কিন্তু আবাহনীর চতুর্থ বোলার হিসেবে আক্রমনে এসে পুরো ১০ ওভার বোলিং করে ৩৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে প্রাইম দোলেশ্বরকে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২৪ রানের বেশি করতে দেননি সৌম্য । প্রাইম দোলেশ্বরের ফরহাদ হোসেন ৪৭, তাইবুর রহমান ৪১, মার্শাল আইয়ুব ৪০, সাদ নাসিম ৩৪ ও সৈকত আলী ২৩ রান করেন। সৌম্য ছাড়াও আবাহনীর পক্ষে বল হাতে মাশরাফি ৪৮ রানে ২টি ও সাইফউদ্দিন-মিরাজ-সাব্বির ১টি করে উইকেট নেন।
জবাবে ২২৫ রানের লক্ষ্যে ছুটতে গিয়ে শুরুতেই বিপদে পড়ে আবাহনী। স্কোর বোর্ডে ২৩ রান উঠতেই ৩ ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফিরেন। বল হাতে সফল সৌম্য ১০ রানের বেশি করতে পারেননি। নাজমুল হোসেন শান্ত ও ভারতের প্রিয়াঙ্ক কিরিত পাঞ্চালতো রানের খাতাই খুলতে পারেননি।
এরপর শুরুর ধাক্কাটা ভালোভাবে সামলে উঠেন জহিরুল ও পাঁচ নম্বরে নামা মোহাম্মদ মিথুন। চতুর্থ উইকেটে ৬৩ রানের জুটি গড়েন তারা। মিথুন ব্যক্তিগত ৪০ রানে থামলেও ব্যাট হাতে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন জহিরুল। মিথুনের পর সাব্বির ২৪ ও অধিনায়ক মোসাদ্দেক ২ রান করে ফিরলে ম্যাচ নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায় আবাহনী। কারন দলীয় ১৩৫ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় তারা। ঐসময় জয় থেকে ৯০ রান দূরে দাঁড়িয়ে আবাহনী।
এ অবস্থায় ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠে আবাহনী। তাই সর্তকতা অবলম্বন করেন জহিরুল, সাথে যোগ দেন আট নম্বরে নামা সাইফউদ্দিন। দ্রুত নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া গড়ে তুলে রানের গতি বাড়াতে থাকেন তারা। তাই ম্যাচও হাতে মুঠোয় চলে আসতে থাকে আবাহনীর। শেষ পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন ৯২ রানের জুটি গড়ে আবাহনীকে তৃপ্তি জয় এনে দেন জহিরুল ও সাইফউদ্দিন।
জহিরুল ১০টি চারে ১২৭ বলে অপরাজিত ৯১ ও সাইফউদ্দিন ৬৯ বলে অপরাজিত ৫৫ রান করেন। তার ইনিংসে ৭টি চার ছিলো। ম্যাচ সেরা হয়েছেন জহিরুল।
বাসস/এএসজি/এএমটি/১৮৩৩/স্বব