বাসস দেশ-৯ : বিস্কুট শিল্পের প্রসারে নীতিমালা প্রণয়নের আহবান

176

বাসস দেশ-৯
শিল্পমন্ত্রী-বিস্কুট শিল্প
বিস্কুট শিল্পের প্রসারে নীতিমালা প্রণয়নের আহবান
ঢাকা, ৪ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : বাংলাদেশ অটো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ দেশের বিকাশমান বিস্কুট এবং ব্রেড শিল্পের টেকসই প্রসারে একটি নীতিমালা।
এ লক্ষ্যে সংগঠনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রেরণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তারা বলেন, নীতিমালাটি চূড়ান্ত হলে, খাদ্য শিল্পের গুণগতমান উন্নয়নের পাশাপাশি এ খাতে শৃক্সক্ষলা বজায় রাখা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ অটো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা আজ বৃহস্পতিবার শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সাথে বৈঠককালে এ আহবান জানান। শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে সংগঠনের সভাপতি মোঃ শফিকুর রহমান ভূঁইয়া, উপদেষ্টা শরীফ এম. আফজাল হোসেন, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোঃ জামাল রাজ্জাক, মোবারক আলী, মোঃ নাজিম উদ্দিন, মাজহারুল হাসান খানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে নিরাপদ খাদ্য শিল্পখাত গড়ে তোলা, বিস্কুট এবং ব্রেড শিল্পের গুণগত মানোন্নয়ন, পণ্য বৈচিত্রকরণ, রপ্তানি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
এসময় সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাজারে জনপ্রিয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ব্রেড ও বিস্কুটের নাম নকল করে প্রায় একই নামে কিংবা কাছাকাছি নামে ট্রেডমার্ক নিবন্ধন সংগ্রহ করে নি¤œমানের খাদ্যপণ্য বাজারজাত করা হচ্ছে। এর ফলে মূল উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। একই সাথে ভোক্তা সাধারণও নি¤œমানের পণ্য কিনে প্রতারিত হচ্ছেন। তারা ট্রেডমার্কস্ নিবন্ধন এবং পণ্য বাজারজাতকরণের অনুমতি প্রদানের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে পরীক্ষার জন্য ডিপিডিটি এবং বিএসটিআই’র প্রতি নির্দেশনা দিতে শিল্পমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, পরিবেশবান্ধব কারখানা ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা বর্তমান সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। খাদ্যের গুণগতমানের ক্ষেত্রে সরকার কোনো ধরণের ছাড় দেবে না। জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের খাদ্যপণ্য নকলের অসাধু প্রবণতারোধে শিল্প মন্ত্রণালয় কঠোর অবস্থান নেবে।
তিনি অভ্যন্তরীণ বিশাল বাজারের পাশাপাশি রপ্তানির সুযোগ কাজে লাগাতে বাংলাদেশে বিশ্বমানের খাদ্য শিল্প গড়ে তোলার পরামর্শ দেন। একই সাথে তিনি হালাল খাদ্যের রপ্তানি বাড়াতে হালাল সার্টিফিকেশন সম্পন্ন ব্রেড, বিস্কুটসহ অন্যান্য খাদ্যপণ্য উৎপাদনের তাগিদ দেন।
বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসর অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ
পরে বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসর অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সভাপতি এ.এফ.এম ফখরুল ইসলাম মুন্সীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সাথে সাক্ষাৎ করেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ে সাক্ষাতকালে তারা কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের সম্ভাবনা ও সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পখাত থেকে বাংলাদেশ সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে। এ শিল্পখাতের উদ্যোক্তারা বিশ্বের ১শ’ ৪৪টি দেশে বাংলাদেশি কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি করছে।
তারা বলেন,প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা পেলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এ শিল্পখাতে ১০ হাজার কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি সম্ভব হবে। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা প্রক্রিয়াজাত খাদ্য পরীক্ষার জন্য বিএসটিআই’র ল্যাবরেটরির সক্ষমতা বৃদ্ধিরও সুপারিশ করেন।
এর জবাবে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের প্রসারে প্রয়োজনীয় সব ধরণের নীতি সহায়তা অব্যাহত রাখবে। এ শিল্পখাতে রপ্তানি বাড়াতে উদ্যোক্তাদের নগদ প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। প্রক্রিয়াজাত খাদ্য পরীক্ষার জন্য বিএসটিআই গবেষণাগারের সক্ষমতা বৃদ্ধির সুপারিশকে তিনি স্বাগত জানান। এখাতের উদ্যোক্তাদের চাহিদামাফিক বিএসটিআই’র গবেষণাগারে নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হবে বলেও মন্ত্রী প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করেন।
এ সময় বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ইকতাদুল হক, অর্থ সম্পাদক গোলাম শরীফ চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য এম.এ ছাত্তারসহ সংগঠনের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/সবি/জেডআরএম/১৬১৫/এমএসআই