পবিত্র শবে মেরাজ পালিত

478

ঢাকা, ৪ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোর ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে বুধবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে মেরাজ পালিত হয়েছে।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বুধবার রাতভর কোরআনখানি, নফল নামাজ, জিকির, ওয়াজ মাহফিল, দোয়া ও বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে পবিত্র শবে মেরাজ পালন করেছে।
এ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বুধবার বাদ আসর বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ‘লাইলাতুল মেরাজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক এক ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
এই মাহফিলে ওয়াজ করেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মহিউদ্দিন কাসেম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব কাজী নূরুল ইসলাম।
এছাড়া মিলাদ মাহফিলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দ্বীনী দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক মোঃ আনিছুর রহমান সরকার, মসজিদ ও মার্কেট বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ মহীউদ্দিন মজুমদারসহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারি ও সাধারণ মুসল্লীগণ অংশগ্রহণ করেন।
লাইলাতুল মেরাজ বা মেরাজের রজনী, যা সচরাচর শবে মেরাজ হিসাবে আখ্যায়িত হয়। ইসলাম ধর্মমতে, ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এই রাতে ঐশ্বরিক উপায়ে ঊর্ধ্বাকাশে আরোহণ করেছিলেন এবং ¯্রষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
ইসলামের ইতিহাস অনুযায়ী, হযরত মুহাম্মদের (সা.) নবুওয়াত প্রাপ্তির একাদশ বৎসরের (৬২০ খ্রিষ্টাব্দ) রজব মাসের ২৬ তারিখের দিবাগত রাতে হযরত জিব্রাঈল (আ.)-এর সঙ্গে পবিত্র কাবা হতে পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস হয়ে সপ্তাকাশের উপর আরশে আজিমে মহান আল্লাহর দিদার লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে দুনিয়াতে প্রত্যাবর্তন করেন। এসময় তিনি অবলোকন করেন সৃষ্টি জগতের সমস্ত কিছুর অপার রহস্য।
রাসূল (সা.)-এর জীবনের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা হচ্ছে ‘মেরাজ’। মেরাজ ইসলামের ইতিহাসে এমনকি পুরা নবুওয়াতের ইতিহাসেও এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। কারণ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ (সা.) ছাড়া অন্যকোনো নবী এই পরম সৌভাগ্য লাভ করতে পারেননি।
ইসলামে মেরাজের বিশেষ গুরুত্ব হচ্ছে, এই মেরাজের মাধ্যমেই ইসলাম ধর্মে নামাজ মুসলমানদের জন্য ফরজ নির্ধারণ করা হয় এবং দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নির্দিষ্ট করা হয়।