বাসস দেশ-১৮ : স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে : তাজুল ইসলাম

173

বাসস দেশ-১৮
শেরপুর-এলজিআরডি মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে : তাজুল ইসলাম
শেরপুর,৩ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর রাজস্ব আদায় বড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
তিনি বলেন,‘স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাজস্ব আদায় বাড়াতে হবে। তা না হলে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো সাবলম্বী হতে পারবে না। শুধু সরকারের অনুদানের উপরে নির্ভর করে কোন প্রতিষ্ঠান তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে না।’
এলজিআরডি মন্ত্রী আজ বুধবার শেরপুর শহীদ দারোগ আলী পৌরপার্ক মাঠে শেরপুর পৌরসভার ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় হুইপ মোঃ আতিউর রহমান আতিক।
অন্যান্যের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক এটিএম জিয়াউল হক, পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট চন্দন কুমার পাল পিপি এ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সরকারের পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ১৯৭৫ সালে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংস করেছিল। ঠিক ২১ বছর পর বঙ্গবন্ধুর কন্যা ক্ষমতায় এসে দেশকে আজ মধ্যম আয়ের দেশের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ আজ একটি মডেল দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
তিনি বলেন,‘শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার আগে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিলো ৪৩০০ মেগাওয়াট, আর এখন দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ২২ হাজার মেগাওয়াট। আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ছিলো ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ্ ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের কোন বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন থাকবে না।’
তিনি বলেন,দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও গতিশীল করতে সরকার বিনামূল্যে পাঠ্য বই বিতরণ করছে,যা পৃথিবীর ইতিহাসে একটি বিরল দৃষ্টান্ত।
মন্ত্রী বলেন,‘আমরা প্রতিটি জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও আইটি সেন্টার স্থাপনের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’
দেশের সকল পৌরসভাকে আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,শুধু প্রকল্প নিলেই চলবে না এর বাস্তবায়ন করতে হলে সকল পৌর এলাকার নাগরিকদের একযোগে কাজ করতে হবে।
তাজুল ইসলাম বলেন,গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর বর্তমান সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে। কারণ কৃষক যেন তার উৎপাদিত ফসল দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে ন্যায্য মূল্য পায়। দেশের যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য ১০০টি ইকনোমিক জোন করা হচ্ছে। এজন্য যুবকদের আইটি শিক্ষার উপর জোর দিতে হবে।
তিনি বলেন,‘১৯৭৪ সালে মুজিব ইন্দিরা চুক্তি বাস্তবায়ন করে ভারতের সাথে ছিটমহল সমস্যা সমাধান করে ১০ হাজার একর জমি আমরা পেয়েছি। মায়ানমার ও ভারতের কাছ থেকে ১৯ হাজার ৪০ বর্গকিলোমিটার সমুদ্রসীমা আমরা বেশী পেয়েছি।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হুইপ আতিক বলেন, শেরপুর জেলাকে একটি পূর্ণাঙ্গ জেলা হিসেবে রূপান্তরিত করতে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, শেরপুর-ময়মনসিংহ সড়কটি ফোরলেনে উন্নতি করণ ও শেরপুর পৌরসভায় একটি আইটি সেন্টার নির্মান অত্যন্ত জরুরী। এ ব্যাপারে তিনি মন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানের পূর্বে আদিবাসী নারীরা নৃত্য ও গান গেয়ে অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান।
বাসস/সংবাদদাতা/জেডআরএম/১৮০৮/কেকে