চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রতি তথ্যমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ

275

ঢাকা, ৩ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ দেশের চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা গ্রহণের আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘দেশে একটি সুস্থ্য সংস্কৃতির চর্চার লক্ষ্যে চলচ্চিত্র শিল্পের সোনালী অধ্যায় ফিরিয়ে আনতে আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে।’
আজ রাজধানীর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি)-তে দু’দিনব্যাপি জাতীয় চলচ্চিত্র দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন-তথ্য সচিব আবদুল মালেক, এফডিসি’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক লক্ষণ চন্দ্র দেবনাথ, বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)-র মহাপরিচালক হারুন-অর- রশিদ, জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক সৈয়দ হাসান ইমাম, অভিনেতা আলমগীর ও ইলিয়াস কাঞ্চন।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, একটি চলচ্চিত্র সমাজের আয়না এবং এতে মানুষের কথা বলা হয়। চলচ্চিত্র থেকে বিনোদনও পাওয়া যায়।
চলচ্চিত্রকে দেশের অন্যতম পুরনো গণমাধ্যম হিসাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে একসময় ১ হাজার ২ শ’ সিনেমা হল থাকলেও, বর্তমানে এই সংখ্যা হ্রাস পেয়ে ২শ’র নিচে দাঁড়িয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী স্মরণ করে বলেন, সমাজে চলচ্চিত্রের প্রভাবের বিষয়টি অনুধাবন করে তৎকালীন শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (এফডিসি) গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন এবং এরই ধারাবাহিকতায় এফডিসি প্রতিষ্ঠিত হয়।
ড. হাছান মাহমুদ বর্তমান সরকার ফিল্ম আর্কাইভ ভবন নির্মাণসহ চলচ্চিত্রের উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘এফডিসির আধুনিকীকরণের জন্য আমরা প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ গ্রহণ করব।’
তথ্যমন্ত্রী চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রয়োজক ও পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ভাল চলচ্চিত্র নির্মাণের আহবান জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর তথ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে এফডিসি চত্ত্বর থেকে একটি র‌্যালি বের হয়।
২০১২ সাল থেকে ৩ এপ্রিল জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস হিসাবে পালিত হচ্ছে।
প্রথমদিনের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- র‌্যালি, চলচ্চিত্র ও স্থিরচিত্র প্রদর্শনী, চলচ্চিত্র বিষয়ক আলোচনা সভা ও সেমিনার।
আগামীকাল প্রখ্যাত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের অংশগ্রহনে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও এফডিসিতে একটি লেজার শো ও আতশবাজি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।