রাঙ্গামাটিতে শুরু হয়েছে বিজু, সাংগ্রাই বৈসুক বিষু মেলা

328

রাঙ্গামাটি, ৩ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলো তাদের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবিকে ঘিরে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ উপলক্ষে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ৪ দিনব্যাপী বিজু, সাংগ্রাই বৈসুক বিষু মেলা শুরু হয়েছে। মেলায় আলোচনাসভা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকছে।
রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে বিকেলে ৪ দিনব্যাপী বিজু, সাংগ্রাই বৈসুক বিষু মেলার উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমার সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ রিয়াদ মেহমুদ এমফডব্লিউসি, পিএসসি এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস এম শফি কামাল ছিলেন। এতে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ সদস্য সান্তনা চাকমা ও ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রনেল চাকমা। রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী ইনস্টিটিউটের মেলা ২ এপ্রিল থেকে ৫এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। এতে প্রথমদিন আলোচনা সভা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, বিভিন্ন খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজিন রয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ও প্রধান সামাজিক উৎসব বিজু, সাংগ্রাইং,বৈসুক, বিষু, বিহু । মুলত আগামী ১২,১৩ এবং ১৪ এপ্রিল এই তিন দিনব্যাপী মুল উৎসব পালন করা হলেও এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করে। যার মধ্যে রয়েছে চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও কবিতা পাঠের আয়োজন ছাড়াও রাঙামাটি স্টেডিয়ামে আদিবাসী জুম পিঠা, পোশাক, বই, আলোক চিত্র প্রদর্শনী আদিবাসী খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনূষ্ঠান ও বয়োজ্যেষ্ঠদের সম্মাননা ও আলোচনা সভা রয়েছে।
মুলত বৈসাবি উৎসবের মধ্য দিয়ে পাহাড়ীরা পুরানো বছরকে বিদায় জানায় আর নতুন বছরকে বরণ করে নেয়। সবার কামনা থাকে পুরানো বছরের সকল গ্লানি, ব্যর্থতা, হিংসা, বিদ্বেষ মুছে যাক নতুন বছর ভালোবাসা, সাফল্য আর সম্প্রীতির হোক।
সরকারি ভাষায় ব্যবহৃত বৈসাবি শব্দকে চাকমারা বিজু, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী বৈইসুক এবং মারমা সম্প্রদায় সাংগ্রাই উৎসব নামে পালন করে থাকে।