বাজিস-১৭
নদী-শাসন
দেশের সকল নদী শাসনে বৃহৎপ্রকল্প গ্রহণ করা হবে : পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী
হবিগঞ্জ, ২ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, পৃথিবীর কোথাও বাংলাদেশের মতো নরম মাটি নেই। তাই জিও ব্যাগ এবং ব্লক দেয়ার পরও নদীর বাঁধ রক্ষা করা যায় না। তাই ছোট ছোট প্রকল্প না নিয়ে, বৃহৎ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। মঙ্গলবার বিকেলে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক এলাকায় কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গণ পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
তিনি আরো জানান, কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গণে বিস্তীর্ণ এলাকা যাতে আর নদীগর্ভে না যায়, তার জন্য পুরো কুশিয়ারা নদী নিয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। পূর্বে নদীর ৩০ মিটার ভিতর থেকে বাঁধ রক্ষার কাজ শুরু হতো। এটি টেকসই নয় বলে প্রমাণিত হয়েছে। তাই ৭০ মিটার ভিতর থেকে নদী শাসনের প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ মিলাদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মাহফুজুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল হাসান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী নিজামুল হক ভূইয়া, হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসাক (সার্বিক) ফজলুল জাহিদ পাভেল, হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহীদুল ইসলাম প্রমুখ।
পরে স্থানীয় দীঘলবাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এলাকাবাসী আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। এ সময় তিনি বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন নদী ভঙ্গনের মূল কারণ। এই বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে।
উল্লেখ্য, হবিগঞ্জের তিনটি উপজেলার দুই শতাধিক গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন যাবৎ কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গনের শিকার হচ্ছেন। প্রতি বছর ১৫ মিটার করে নদীতে যাচ্ছে জনপদ। নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক নামে একটি গ্রাম পুরোটাই চলে গেছে নদীতে। অনেক হাট বাজার এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বিলীন হয়েছে এই নদীতে। বিলীন হওয়ার পথে অনেকের বাড়ীঘর।
বাসস/সংবাদদাতা/১৯০৫/মরপা