রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে ভূমিকা রাখতে তুরস্কের প্রতি স্পিকারের আহবান

215

ঢাকা, ২ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস ) : স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বাংলাদেশে আশ্রয়গ্রহণকারী বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে জোরালো ভূমিকা রাখতে তুরস্কের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত দেভরিম ওজতুর্ক আজ সংসদ ভবনে তাঁর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলে স্পিকার এ আহবান জানান।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়ন, সংসদীয় কার্যক্রম, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন, ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার নিয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার বলেন, জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার নবদ্বার উন্মোচন করেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় তুরস্কও রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তায় এগিয়ে এসেছে। তুরস্কের ফার্ষ্ট লেডির নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গা ক্যাম্প সরেজমিনে পরিদর্শন করায় স্পিকার তুরস্কের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
স্পিকার বলেন, তুরস্কের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। দু’দেশের সংসদের মধ্যেকার সম্পর্ক জোরদার ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে এ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার সুযোগ রয়েছে।
সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ সম্পর্ক জোরদার হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ গত ৩০ জানুয়ারি থেকে কার্যক্রম শুরু করেছে। দ্রুততম সময়ে সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগের ইতিবাচক পরিবেশ রয়েছে। এসময় তিনি রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে তুরস্কের ব্যবসায়ী সমাজকে বাংলাদেশে ঔষধ,তৈরি পোষাক ও আইসিটি খাতে বিনিয়োগের আহবান জানান। দেভরিম ওজতুর্ক বলেন, ওষুধ শিল্পে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ঔষধ শিল্পে বাংলাদেশের সাফল্য অনুকরণীয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, খুব শীঘ্রই তুরস্ক হতে মন্ত্রী পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল এ দেশের ওষুধ শিল্পের বিকাশ দেখতে বাংলাদেশ সফর করবেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের সাথে তুরস্কের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ব্যবসা বাণিজ্যের সামঞ্জস্য রয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ গঠন করতে তুরস্ক খুবই আন্তরিক। তুরস্ক বিশ্বাস করে দু’দেশের সংসদ সদস্যগণ পারস্পরিক মতবিনিময় ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারেন। এসময় তিনি বাংলাদেশে ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারে ভূমিকা রাখবেন বলে স্পিকারকে অবহিত করেন।
এসময় সংসদ সচিবালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।