বাসস দেশ-৩৭ : গার্মেন্টস কারখানায় উৎপাদনশীলতা চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে : বক্তারা

বাসস দেশ-৩৭
শিল্পমন্ত্রী-গার্মেন্টস
গার্মেন্টস কারখানায় উৎপাদনশীলতা চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে : বক্তারা
ঢাকা, ১ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর দেশের ৮০ শতাংশ গার্মেন্টস কারখানার চাকরিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে, এতে করে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে চার গুণ। গার্মেন্টসের নারী শ্রমিকরা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারেন, এর মাধ্যমে তারা সেটির প্রমাণ রেখেছেন। ৪র্থ শিল্প বিপ্লব অবিস্মরণীয় দ্বার উন্মোচন করবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে।
আজ রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘৪র্থ শিল্প বিপ্লব: বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য সম্ভাবনা’- শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, ৪র্থ শিল্প বিপ্লব উৎপাদনশীলতার এক অবিস্মরণীয় দ্বার উন্মোচন করবে। এই শিল্প বিপ্লবের সম্ভাবনার পূর্ণাঙ্গ ব্যাবহার সম্ভব হলে মানবসম্পদ ও যন্ত্রের দক্ষতার মাঝে একটি ভারসাম্য সৃষ্টি হবে এতে করে উৎপাদনশীলতা বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। এজন্য নতুন যুগের চাহিদা অনুযায়ী এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সালাহউদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন, শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় ছিলেন বিআইডিএসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ। আলোচনা করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল ও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক ড. মো. রোকনুজ্জামান এবং বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্টের (বিল্ড)-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা বেগম।
শিল্প সচিব মো. আব্দুল হালিম বলেন, ‘ভবিষ্যতের চাহিদার দিকে খেয়াল রেখে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সংগে আলোচনা করে ৪র্থ শিল্প বিপ্লব সংক্রান্ত পলিসি প্রণয়ন নিয়ে শিল্প মন্ত্রণালয় কাজ করছে।’
গার্মেন্টস কারখানায় উৎপাদনশীলতা চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক বলেন, ‘৪র্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে কর্মের ধরণ বদলে যাবে। সেই সঙ্গে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে যার জন্য নতুন কর্মদক্ষতার প্রয়োজন হবে।’
অধ্যাপক ড. মো. রোকনুজ্জামান বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে দেশের গার্মেন্টস খাতের প্রায় ৬০ শতাংশ চাকরি অটোমেশন হবার সম্ভাবনা রয়েছে। নতুন এই পরিস্থতি মোকাবিলায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এ জন্য গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য উপযুক্ত সময় ও পরিবেশে প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।’
৪র্থ শিল্প যুগে সাইবার নিরাপত্তা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়াবে উল্লেখ করে ফেরদৌস আরা বেগম বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ গড়ে তোলা অতীব জরুরি।’ তিনি বলেন, ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি করতে সকল বিজনেস স্কুল, ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে এই শিল্প বিপ্লবের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কোর্স ও পাঠক্রম শুরু করতে হবে। শিল্প প্রতিষ্ঠান ও উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঝে সংযোগ ও সহযোগিতা বাড়াতে হবে।
বাসস/সবি/এমকে/২১১৫/-জেজেড